লোকসভার আগে ১০০ দিনের কাজে মজুরি বৃদ্ধি, 'বাংলায় মাত্র ৫%', সরব তৃণমূল
এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৪
কেন্দ্রীয় সরকার MGNREGA বা ১০০ দিনের কাজে শ্রমিকদের সংশোধিত মজুরির হার প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যেখানে দেশের সমস্ত জায়গাতে মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় থাকা শ্রমিকদের মজুরি আগের থেকে বৃদ্ধি করা হয়েছে।MNREGA-তে মজুরির হার বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সংশোধিত তালিকা অনুযায়ী, ১০০ দিনের কাজে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ মজুরি দেওয়া হবে হরিয়ানাতে। টাকার অঙ্কটা ৩৭৪ দৈনিক। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন মজুরি পাচ্ছে নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশ। তা দৈনিক ২৩৪ টাকা।
পশ্চিমবঙ্গে মনরেগা প্রকল্পে দৈনিক মজুরি করা হচ্ছে ২৫০ টাকা। জানানো হয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর করা হতে চলেছে।
দৈনিক অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রে অঙ্কটা ধার্য করা হয়েছে ৩০০, অরুণাচল ২৩৪, অসম ২৪৯, বিহার ২৪৫, ছত্তিশগড় ২৪৩, গোয়া ৩৫৬, জম্মু কাশ্মীর ২৫৯, লাদাখ ২৫৯, ঝাড়খণ্ড ২৪৫, কর্ণাটক ৩৪৯, কেরালা ৩৪৬, মধ্যপ্রদেশ ২৪৩ মহারাষ্ট্র ২৯৭, মণিপুর ২৭২, মেঘালয় ২৫৪, মিজোরাম ২৬৬, ওডিশা ২৫৪, পঞ্জাব ৩২২, রাজস্থান ২৬৬, উত্তর প্রদেশ ২৩৭, উত্তরাখণ্ড ২৩৭ দৈনিক।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রের 'আর্থিক বঞ্চনা'-র অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে এই অভিযোগকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার সেই অর্থ মেটাবে, ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি রাজ্যে যাঁরা শ্রমদান করেন তাঁদের কর্মসংস্থানের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকার ‘কর্মশ্রী’ নামক জনকল্যাণমুখী প্রকল্পও চালু করেছে। যেখানে রাজ্যের জবকার্ড হোল্ডার পরিবার বছরে কম করেও ৫০ দিন কাজ পাবে। এই উদ্যোগের ফলে একাধিক শ্রমদাতা উপকৃত হতে চলেছেন বলে মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
এদিকে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেই একটি টুইট করেছেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে। তিনি লিখেছেন, 'লজ্জাজনক, মনরেগাতে যে সংশোধিত পারিশ্রমিক ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমদাতাদের পারিশ্রমিক মাত্র ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।' বিহারে এই বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশ, অন্ধ্রপ্রদেশে ১০.৯ শতাংশ, গুজরাটে ৯. ৩ শতাংশ, মধ্য প্রদেশে ৯.৯ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৯.৯ শতাংশ-এই পরিসংখ্যানগুলিও তুলে ধরেন তিনি। শুধু সাকেত গোখলে নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন সুখেন্দু শেখর রায়ও।