• Baltimore Bridge Accident : মে ডে কল দিয়ে ‘হিরো’ ভারতীয় জাহাজকর্মীরা নিখোঁজ ৬ জনই কি ‘মৃত’!
    এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: বাল্টিমোরের ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় বড়সড় বিপর্যয় এড়ানো গেলেও প্যাটাপস্কো নদীতে নিখোঁজ ৬ জনকে ‘মৃত’ বলে ধরে নিয়েই আপাতত উদ্ধার অভিযান বন্ধ করল স্থানীয় প্রশাসন। ইউএস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবারই আশ্বাস দিয়েছিলেন, ব্রিজ পুনর্নির্মাণের যাবতীয় খরচ জোগাবে তাঁর সরকার। কিন্তু কবে সেতু সারাইয়ের কাজ শেষ হবে? লাগোয়া বন্দর এলাকার পণ্য পরিবহণই বা স্বাভাবিক হবে কবে, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা সব মহলেই।একই সঙ্গে জাহাজের ধাক্কায় তাসের ঘরের মতো পেল্লায় ব্রিজ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার দৃশ্যও ভুলতে পারছেন না অনেকে। ব্যস্ত সময়ে গড়ে রোজ মোটামুটি ৩৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন ওই ব্রিজ দিয়ে। মাঝরাতের বদলে পিক আওয়ারে ওই দুর্ঘটনা ঘটলে কী হতো, ভেবেই শিউরে উঠছেন আমেরিকানরা। প্রশ্ন উঠছে, সেতুস্তম্ভে পণ্যবাহী জাহাজ এমন একটা বেমক্কা ধাক্কা মারল কী ভাবে? বিপর্যয়ের দায় কি তা হলে দুই চালক-সহ জাহাজে থাকা ২২ জন ভারতীয় কর্মী-নাবিকেরই? এমন একটা প্রশ্ন উঠলেও, বাইডেন কিন্তু বড় বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ওই ভারতীয় কর্মীদেরই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন।

    কেন? ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ ব্রিজ ধ্বংসের আগের মিনিট চারেকের ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে মোটামুটি স্পষ্ট যে, ব্রিজের নীচ দিয়ে পেরনোর খানিক আগে ‘ডালি’ নামের ওই জাহাজের বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়। এবং এর পরেই সম্ভবত ‘মে ডে’ কল করে প্রশাসনকে সতর্ক করেন জাহাজের নাবিক-কর্মীরা। মানে, জাহাজ যে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে, সেটা প্রথমবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ার সময়েই টের পান তাঁরা। এবং তখনই প্রশাসনকে বিপদ-সঙ্কেত পাঠান তাঁরা।

    ‘মে ডে’ কল না-হলে ওই সময়ে ব্রিজের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যেত না। ফলে আরও অনেক গাড়িই হয়তো সে ক্ষেত্রে ফোর লেনের ব্রিজ থেকে সটান পড়ত নদীতে। ‘মে ডে’ কলের ক্ষেত্রে ভারতীয় নাবিক-কর্মীদের এই তৎপরতারই ভূয়সী প্রশংসা করেন বাইডেন। মেরিল্যান্ডের মেয়র ওয়েস মুর-ও দুর্ঘটনার জন্য দোষারোপ না করে ভারতীয় ক্রু-দের ‘হিরো’র অ্যাখ্যাই দিয়েছেন।

    এই মুহূর্তে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির আশপাশের সব ক’টি রাস্তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, সেতুর নীচ দিয়ে জলযানের চলাফেরাও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ছ’জনের খোঁজ আপাতত বন্ধ। কারণ, নদীতে পড়লে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস টেম্পারেচারে তিন-চার ঘণ্টার বেশি কারও বাঁচার কথা নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উপকূলরক্ষী বাহিনী অবশ্য কড়া নজর রাখছে প্যাটাপস্কো নদীতে।

    মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, এমন নিখোঁজের তালিকায় মিগুয়েল লুনা নামে মধ্য চল্লিশের এক যুবক রয়েছেন বলে একাধিক সূত্রের খবর। আদতে এল সালভাদোরের বাসিন্দা তিন সন্তানের বাবা মিগুয়েলও সম্ভবত দুর্ঘটনার মুহূর্তে ব্রিজের উপর কাজ করছিলেন। ব্রিজ সারাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার স্থানীয় কন্ট্রাক্টরের দাবি, সারাইকর্মীদের মধ্যে কয়েক জন গুয়াতেমালার বাসিন্দা।
  • Link to this news (এই সময়)