Congress Account Freeze: আয়করের 'গুঁতোয়' পঙ্গু 'হাত', কী ভাবে জোগাড় ৫২৩ কোটি? চিন্তায় কংগ্রেস
এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৪
নির্বাচনে আগে বড় ধাক্কার মুখে কংগ্রেস। ১৩৫ কোটির পর কংগ্রেসের কাছ থেকে ৫২৪ কোটি টাকা আদায়ের প্রস্তুতি। এই ঘটনায় কংগ্রেস দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টের। তবে দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তি মেলেনি। ১৩৫ কোটি টাকা উদ্ধারে আয়কর দফতরের তরফে একটি নোটিশ এসেছিল জাতীয় কংগ্রেসের কাছে। সেই নোটিশে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লির হাইকোর্টে কংগ্রেস আর্জি জানায়। নোটিশে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এই আবহেই নির্বাচনের ঠিক আগে আরও এক বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে কংগ্রেসেরে বিরুদ্ধে। আয়কর দফতর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে বলে খবর। আয়কর বিভাগ কংগ্রেসের থেকে ৫২৩.৮৬ কোটি টাকা আদায়ের নোটিশ দিয়েছে। সূত্রের খবর, কংগ্রেস আয়কর বিভাগকে এই টাকার লেনদেনের কোনও হিসাব দেয়নি। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই লেনদেন চলেছে। এর আগেও কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩৫ কোটি টাকা বকেয়া হিসেবে আদায় করেছে আইটি। তবে এই টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে তা নিয়ে চিন্তায় কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের দাবি, তাদের ভাঁড়ার শূন্য। নির্বাচনে লড়ার মতোও টাকা নেই। এই আবহে কোথা থেকে এই টাকা জোগাড় করবে হাত শিবির তা নিয়ে মাথায় হাত দলের অন্দরেই।কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ও বর্ষীয়ান আইনজীবী বিবেক তানখারের কথায়, 'এর আগে ১৩৫ কোটি টাকা আদায় করে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে দলকে। পরবর্তী পদক্ষেপের ফলে নির্বাচনের আগে দলকে আরও বড় ধাক্কাক দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। পঙ্গু হওয়ার আর কী বাকি রইল? উল্লেখ্য, চলতি মাসে কংগ্রেস আয়কর দফতরের একটি নোটিশের বিরুদ্ধে আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানায়। দলের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট থেকে ১৩৫ কোটি টাকা উদ্ধারের উপর স্থগিতেদশ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তবে খারিজ হয়ে যায় সেই আবেদন। ২২ মার্চ ফেল দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল হাত শিবির। সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
প্রেস কনফারেন্স করে রাহুল-সনিয়ারা অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে, তাদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দিতে মোদী সরকার এই পরিকল্পনা করেছে। কংগ্রেসের আরেক রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিংয়ের দাবি, 'দলের কাছে নির্বাচনে লড়ারও টাকা নেই। কংগ্রেসের কাছে বিজ্ঞাপন দেওয়ার বা লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের টাকা দেওয়ার বা নেতাদের ভ্রমণের জন্য তহবিল নেই।' প্রধান বিরোধী দলের নির্বাচনী প্রচার কাজ বন্ধের এটা সম্পূর্ণ ভাবে বিজেপির কৌশল বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
মোদী সরকারে অস্বস্তি বাড়িয়ে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল প্রসঙ্গে মন্তব্য করছে বাইডেন প্রশাসন। ওয়াশিংটনে রোজকার মিডিয়া ব্রিফিংয়ের মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, 'আমাদের নজরে আছে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করার বিষয়টিও। এরফলে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার চালাতে সমস্যা হবে। আমরা মনে করি, প্রত্যেকেরই স্বচ্ছ এবং দ্রুত বিচার প্রাপ্য।'