গরম পড়তে না পড়তেই রেকর্ড করল রাজধানী। ২০ মার্চ বছরের উষ্ণতম দিন দেখেছে দিল্লি। আইএমডি অনুসারে, সাধারণত এই সময় তাপমাত্রা সাধারণত থাকে ৩১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এই তাপমাত্রা ছিল মরসুমের গড় তাপমাত্রার থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।তবে সাতদিন পরেই অর্থাৎ ২৭ মার্চ সেই তাপমাত্রা একলাফে ছুঁয়ে ফেলল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানুয়ারি মাসের পর থেকে এই তাপমাত্রা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলছে আবহাওয়া দফতর। এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৪ ডিগ্রি বেশি। তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলার সাথে সাথেই দিল্লি ছুঁয়ে ফেলল বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। তবে এদিন আকাশ মেঘলা থাকার কারণে এবং দিল্লির বেশ কয়েকটি জায়গায় হালকা বৃষ্টির কারণে তাপ খুব একটা অনুভব করেননি দিল্লিবাসী। তবে তাপমাত্রার পারদের এ হেন লম্ফঝম্পের এখানেই শেষ নয় বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। এদিন দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। দিনের বেলা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ থেকে ৩৩ শতাংশের মধ্যে।
আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী তিনদিন রাজধানীতে হালকা এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে আকাশ মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৭ ডিগ্রি এবং ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এপ্রিল মাসে দিল্লির তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাোয়া দফতর।
অন্যদিকে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড অনুসারে, বায়ুর গুণমান সূচক ১৭৭ রিডিং সহ ‘মধ্যম’ বিভাগে ছিল। শূণ্য এবং ৫০ এর মধ্যে একটি AQI ‘ভাল’, ৫১ এবং ১০০ ‘সন্তোষজনক’, ১০১ এবং ২০০ ‘মধ্যম’, ২০১ এবং ৩০০ ‘দরিদ্র’, ৩০১ এবং ৪০০ ’খুব দরিদ্র’ এবং ৪০১ এবং ৫০০ ‘গুরুতর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বৃহস্পতিবার তাপমাত্রার চড়া পারদ থেকে কিছুটা রেহাই পেতে পারেন দিল্লিবাসী, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে যে, দিনগুলি আরও উষ্ণ এবং শুষ্ক হয়ে গেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
গ্রীষ্মের শুরুতেই তাপপ্রবহের সঙ্গে লড়াই করছে রাজস্থান। দিল্লিতেও ক্রমেই বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তারই মধ্যে চলতি বছরে রেকর্ড গরমের আগাম পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দিল্লির পিতমপুরা সবথেকে উষ্ণতম জেলা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।