ED দফতরে হাজিরা নয়, নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন মহুয়া, বললেন...
এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৪
বৃহস্পতিবার মহুয়া মৈত্রকে তলব করেছিল ED। কিন্তু, এদিন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল, তিনি কি ED তলবে হাজিরা দেবেন? এই প্রসঙ্গে তিনি এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, 'সকাল থেকে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। ED হাজিরায় যেতে পারছি না।'
জানা গিয়েছে, এদিন কালীগঞ্জে প্রচার করতে চলেছেন মহুয়া মৈত্র। এরপর নয়াচর গ্রামে প্রচার কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।উল্লেখ্য, বিদেশি মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। ২৮ মার্চ তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়। লোকসভা ভোটের মুখে তাঁকে ED তলব করা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। এর আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একাধিকবার 'এজেন্সি রাজনীতি'-র অভিযোগ উঠেছিল। ভোটের মুখে মহুয়া মৈত্রকে তলব করা নিয়েও রীতিমতো চর্চা চলছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই 'ক্যাশ ফর কোয়ারি' মামলায় মহুয়া মৈত্রের বাবার কলকাতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় CBI। দীর্ঘক্ষণ চলে তল্লাশি। গত ১৯ মার্চ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে 'অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন' সংক্রান্ত মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ দেয় লোকপাল। এরপরে FIR দায়ের করা হয় মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। এই মামলার প্রেক্ষিতে মহুয়া মৈত্রের বাবা দীপেন্দ্রলাল মৈত্রের আলিপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
বাড়িতে CBI হানার পর একটি উল্লেখযোগ্য টুইট করতে দেখা গিয়েছিল মহুয়া মৈত্রকে। যেখানে তিনি এবং যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী দূরবীনে চোখ রেখেছিলেন। ক্যাপশানে মহুয়া লিখেছিলেন, 'CBI আমার বাড়ি এবং নির্বাচনী অফিসে এসেছিল। তারা তদন্ত করে এবং কিছু পায়নি। অন্যদিকে আমি এবং সায়নী ঘোষ এখনও আমাদের বিরুদ্ধে BJP প্রার্থীকে খুঁজছি।' ২৩ মার্চ তিনি এই পোস্ট করেন।
বৃহস্পতিবার কালীগঞ্জের নয়াচরে নিজের প্রচারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মহুয়া মৈত্র। যেখানে কখনও চা তৈরি করতে দেখা গেল তাঁকে। কখনও মানুষের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, মহুয়ার বিরুদ্ধে 'অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন' করার অভিযোগ এনেছিলেন BJP সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এরপর এই নিয়ে লোকসভার এথিক্স কমিটি তদন্ত করে। সংসদ থেকে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করার সুপারিশও করা হয়। সেই সুপারিশের উপর ভিত্তি করেই সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হন মহুয়া। যদিও পুরো বিষয়ে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’-এর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তিনি।