২০০৯ সাল থেকে তিনি জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। এবারও বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ভরসা 'টেস্টেড সৈনিক' কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এবার তাঁর ভোটপ্রচারে অভিনব পন্থা- তৈরি করা হচ্ছে 'থিম সং'। এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন টলিউডের বিখ্যাত মিউজিক ডিরেক্টর সুশান্ত মজুমদার এবং বারাসত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি সোহম পাল।ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে সেই গানের রেকর্ডিং। খুব শীঘ্রই তা ভিডিয়ো আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের চতুর্থবারের তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর নির্বাচনী প্রচারের জন্য তৈরি হয়েছে একটি থিম সং', যার নাম 'বার বার চারবার, বারাসতের অহংকার কাকলি ঘোষ দস্তিদার'।
গানটি লিখেছেন ছাত্র নেতা সোহম নিজেই। নির্বাচনী প্রচারে অভিনবত্ব আনতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উন্নয়নমূলক কাজগুলি সাধারণ মানুষের কাছে সহজ সরল ভাবে পৌঁছে দেওয়াই এই গানের মূল উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৪ সালের লোকসভায় নির্বাচনী প্রচারে 'থিম সং'-এর ব্যবহার নিঃসন্দেহে অভিনব। গানটি সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে মনে করছেন গানের নির্মাতা থেকে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
গানে উল্লেখ রয়েছে এই বিদায়ী সাংসদের উন্নয়নমূলক নানান পদক্ষেপের কথা। বারাসত শহরকে আলোকিত করা, বারাসতের জেলা হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে রূপান্তরিত করা, প্রত্যেক বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া, সড়ক উন্নয়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে স্কলারশিপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো সহ নানা কাজ তুলে ধরা হয়েছে এই থিম সং-এর মাধ্যমে।
থিম সংটির জন্য একাধিক বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। নির্মাতাদের দাবি, 'সুর থেকে শুরু করে বাদ্যযন্ত্র-সমস্ত দিকেই বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। গানটি একবার শুনলে বারবার শুনতে ইচ্ছে করবে।’
ইতিমধ্যেই গানটি বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে রিলিজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর সেখানে মানুষের ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের। জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হেঁটে গত পাঁচ বছরে নিজের এলাকায় একাধিক উন্নয়ন করেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এলাকাবাসীর সুখ, দুঃখে তাঁদের পাশে থেকেছেন। এই থিম সংয়ের মাধ্যমে সেই উন্নয়নের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে।