• মমতার 'মৃত্যুকামনা' করছেন অভিজিৎ, অভিযোগে কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল
    Aajtak | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • এবার তৃণমূলের নিশানায় বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুকামনা করেছেন বলে অভিযোগ রাজ্যের শাসকদলের। এই নিয়ে তৃণমূলের তরফে ট্যুইটও করা হয়েছে। তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারে বলে খবর। 

    সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তারইমধ্যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের তরফে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে তৃণমূল। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। সেই ভিডিওতে বলতে শোনা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে, 'মমতার মনে হচ্ছে মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে। মনে হচ্ছে।' 

    সেই পোস্টে তৃণমূল কংগ্রেস লিখেছে, 'বাংলার বিজেপি ঘৃণ্য রাজনীতি করছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকাশ্যে মৃত্যুকামনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী একবার দেখুন আপনি কাকে পরিবারের সদস্য করেছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করছি, তারা যেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।' 

    জানা গিয়েছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যেতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একজন প্রার্থী কেন এমন মন্তব্য করল,তাঁর বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই দাবি করা হবে কমিশনের কাছে। 

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ 'কু-কথা' বলে বিতর্কে জড়ান। বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, 'বিহার, ইউপি থেকে দিদি গোয়াতে গিয়ে বলেন গোয়ার মেয়ে। ত্রিপুরাতে গিয়ে বলেন ত্রিপুরার মেয়ে। বাপ তো ঠিক করুন। যার তার মেয়ে হওয়া ঠিক নয়।' এই মন্তব্যের পর দিলীপকে শোকজ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নির্বাচন কমিশনও নোটিশ ধরায়। 

    তৃণমূলের তরফে তীব্র সমালোচনা করা হয় দিলীপ ঘোষের। মহিলাদের অপমান করা হয়েছে এই অভিযোগে ক্ষোভপ্রকাশ করা হল শাসকদলের তরফে। মমতার পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলায় দিলীপ ঘোষকে তীব্র আক্রমণ করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'মানুষ আপনাকে ঘৃণা করে। মানুষ মেনে নেবে না। আপনি এটা বারবার করেন। আপনাকে সাবধান করা হচ্ছে, এই ধরনের কথা বলবেন না। নিজের গণ্ডির মধ্যে থাকুন। না হলে আগামীদিন বুঝতে পারবেন বাংলা ও ভারতের মানুষ কী বলবে।'
  • Link to this news (Aajtak)