• ভাঙড় ও উত্তর কাশীপুর থানার জন্য এক কোম্পানি করে বাহিনী
    বর্তমান | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ভাঙড়। রাজনৈতিক এবং পুলিস মহলের অভিমত, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সম্ভবত ভাঙড়েই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হতে পারে। এখন এখানে এক কোম্পানি বাহিনী দু’ভাগে ভাগ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে। 

    কিন্তু ভাঙড়ে এখনও অনেক গ্রাম রয়েছে, যেখানে অশান্তি, গণ্ডগোলের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে। তাই ভাঙড় থানা এবং উত্তর কাশীপুর থানা এলাকায় পৃথকভাবে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দু’টি থানা এলাকার মধ্যে বহু স্পর্শকাতর এবং গোলমাল প্রবণ এলাকা রয়েছে। সেখানে একাধিক লোক রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অতীতে নির্বাচনী সংঘর্ষে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে। আবার সেই সমস্ত এলাকায় ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষজনও বসবাস করেন। ভোটের আগে সেইসব জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে টহলের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে ভোটারদের ভয়-ভীতি কাটানো যায়। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই এই দু’টি থানা এলাকার জন্য পৃথকভাবে এক কোম্পানি করে বাহিনী পাঠানো হবে। 

    পঞ্চায়েত ভোটে বিজয়গঞ্জ বাজার, চালতাবেড়িয়া, শানপুকুর, কাঁঠালবেড়িয়া সহ বেশ কিছু অঞ্চলে ব্যাপক গোলমাল হয়। কলকাতা পুলিস ভাঙড়ের চার থানা হাতে নেওয়ার আগে প্রতিনিয়ত বোমাবাজির ঘটনা ঘটত এখানে। বিভিন্ন গ্রামে আইএসএফ ও তৃণমূলের সংঘর্ষ লেগেই থাকত। লালবাজার সূত্রে খবর, গোলমালের আশঙ্কা উড়িয়ে মানুষ যাতে বুথে গিয়ে ভোট দেন, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে পুলিস প্রশাসনকে। তাই ভোটের আগে যতটা সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আস্থা ফেরানোর প্রক্রিয়া সেরে ফেলার নির্দেশ এসেছে। একইসঙ্গে ভাঙড়ে যেসব ব্যক্তির নাম পুলিসের খাতায় রয়েছে, কিংবা গোলমাল পাকিয়ে আতঙ্ক তৈরির ইতিহাস রয়েছে, তাদের উপর নজরদারি শুরু হয়েছে। এছাড়াও জামিন অযোগ্য ধারায় যেসব মামলা চলছে, সেইসব গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করে ফেলেছে ভাঙড় ডিভিশনের থানাগুলি। 
  • Link to this news (বর্তমান)