কালান্তক কোটা! ফের চরম পদক্ষেপ NEET-পড়ুয়ার, এবছরে এই নিয়ে ৮...
২৪ ঘন্টা | ২৮ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের কোটায় আত্মহত্যা। NEET-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্র। জানা গিয়েছে, হোস্টেল থেকে ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চলতি বছরে এটি অষ্টম আত্মহত্যার ঘটনা। এবং গত দুদিনে কোটায় এটি দ্বিতীয় ঘটনা।মৃত পড়ুয়ার নাম সৌম্য। তিনি লখনউয়ের বাসিন্দা। NEET-এর জন্য প্রস্তুতি জন্য তিনি প্রাইভেট কোচিং ক্লাস অংশ নিয়েছিলেন। পড়ুয়ার পরিবার এখনও পর্যন্ত কোটায় এসে পৌঁছায়নি বলেই জানা গিয়েছে। তারা এলে সৌম্যর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হবে।
২৫ মার্চ, উরুজ খান নামে ২০ বয়সীর এক ছাত্র ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে,মেডিক্যাল কোর্সে প্রস্তুতি নিতে এনইইটি-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই ছাত্র। উত্তরপ্রদেশের কনৌজের বাসিন্দা ছিলেন ওই ছাত্র। কোটায় তিনি এক অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকেই তাঁর সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।কী কারণে ওই ছাত্র এই চরম পদক্ষেপ নিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। পুলিস সূত্র অনুযায়ী, গত বছর কোটায় ২৯ জন ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। সেইসব পড়ুয়াই NEET-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের মতে, কোটা হল ভারতের পরীক্ষা-প্রস্তুতি কেন্দ্র। যা এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এই কোচিং সেন্টারগুলির বার্ষিক ব্যবসা প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা। সারাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা দশম শ্রেণী শেষ করার পর কোটায় আসে৷ কিছু ছাত্ররা তাদের পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকার কারণে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। মূলত NEET এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (JEE)-র প্রস্তুতির জন্য় ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে আসে।একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে কোটায়। সেদিকে নজর রেখে স্প্রিং দেওয়া সিলিং ফ্যান লাগাতে বলা হয়েছে হস্টেলগুলিকে। কেউ সেখানে ফাঁস দিয়ে ঝুললেই তা অনকেটাই নীচের দিকে নেমে যাবে। পাশাপাশি ছাদ থেকে কেউ যাতে নীচে ঝাঁপ দিতে না পারে তার জন্য হস্টেলের চারদিকে জাল টাঙাতেও নির্দেশ দেয় প্রশাসন। প্রাইভেট কোচিং ইনস্টিটিউটগুলি নিয়ন্ত্রণ করার আবেদনের শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে।