কোটি কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েও থমকে! ভাঙাচোরা কাদাডোবা রাস্তা নিয়ে বিরক্ত এলাকাবাসী...
২৪ ঘন্টা | ২৮ মার্চ ২০২৪
অরূপ বসাক: রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ, ঘেরাও-সহ বিভিন্ন আন্দোলন হয়েছে। এমনকি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে ছাত্রছাত্রীরাও। একটাই কারণ, রাস্তা সংস্কার হোক। মাল ব্লকের গজলডোবা ১০ নাম্বার কলোনি থেকে ওদলাবাড়ি চা-বাগান পর্যন্ত রাস্তা প্রায় ১ বছর ধরে বেহাল। রাস্তার হাল এতই খারাপ ছিল যে, কয়েক মাস যাবত এই রাস্তা দিয়ে বেশির ভাগ গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিলেন গাড়ি চালকেরা। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প 'ভোরের আলো', শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি চলাচল করে সব গাড়ি।
দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে গত তিনমাস আগে সেই রাস্তা কাজ শুরু হয়। সেই সময় জানা গিয়েছিল বর্ষার আগেই রাস্তা পুরোপুরি ভাবে তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে কোনও গাড়িই চলাচল করতে পারছে না। আর এতেই বিরক্ত এলাকার মানুষজন।গজলডোবা এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঠিকাদার সংস্থা ঠিকঠাক কাজ না করার জন্যই রাস্তার হাল এত খারাপ হয়েছে। গজলডোবা ১০ নম্বর থেকে অ্যাডভান্স কলোনি পর্যন্ত রাস্তার হাল এতই খারাপ যে, টোটো সাইকেল পর্যন্ত চলাচল করতে পারছে না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার কাজ খাপছাড়া ভাবে করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে বৃষ্টির কারণে রাস্তার হাল আরও খারাপ হয়েছে। রাস্তা ভরে গিয়েছে কাদায়, ফলে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। আরও অভিযোগ, খুব ঢিমেতালে কাজ হচ্ছে। ফলে, সমস্যা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। গত এক মাসে এই খারাপ রাস্তার জন্য বহু দুর্ঘটনাও ঘটেছে। সরকারি উদ্যোগে এত টাকা ব্যয় রাস্তার কাজ শুরু হলেও কেন ঢিলেমি দিয়ে কাজ হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন শুরু করেছেন এলাকার মানুষেরা।অথচ, গত তিনমাস আগে নারকেল ফাটিয়ে, পুজো দিয়ে রাস্তার নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন গজলডোবা এলাকার বাসিন্দা তথা মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রমীলা মাত্তাবর ও সহ সভাপতি সুশীলকুমার প্রসাদ। এই রাস্তা খারাপের জন্য সভাপতিকেও ঘুরপথে মালবাজার অফিসে আসতে হচ্ছে। মাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সুশীলকুমার প্রসাদ বলেন, সড়কটি নির্মাণ হলে যান চলাচল ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এতে জনগণ উপকৃত হবে। গজলডোবায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে। কিন্তু কেন ঢিলেমি দিয়ে কাজ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষ দীনবন্ধু মণ্ডল, শ্যামল সরকার, জয়ন্ত হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি ছিলাম আমরা, কিন্তু যেভাবে রাস্তার কাজ হচ্ছে, তাতে আমরা মর্মাহত। কবে এই রাস্তার কাজ শেষ হবে, তার কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই।