লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এ বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য বাজেটে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারবাণীতে উঠে আসছে এই প্রকল্পের কথা। এবার সেই প্রচার কৌশলে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। দরজায় দরজায় ঘুরে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রচার করতে চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখা।তৃণমূলের মহিলা শাখা মেগা ডোর-টু-ডোর প্রচার শুরু করবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ মালা রায় নেতৃত্বে এই প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বুথ-ভিত্তিক পরিবারের কাছে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহিলা সদস্যদের একটি নির্দিষ্ট কিট, প্যামফ্লেট দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে?
তৃণমূলের কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রতিটি বাড়িতে বাড়ির মহিলা সদস্যকে একটি বিশেষ কিট দেওয়া হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য দিদির সিদ্ধান্তকে তুলে ধরে একটি খাম দেওয়া হবে। একটি বিশেষ প্যামফ্লেটও দেওয়া হবে
প্রচারে দেওয়া হবে বিশেষ কিট
কী থাকবে সেই প্রচারপত্রে?
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার পত্রে তুলে ধরা হবে 8টি প্রশ্ন। সেগুলি হল বিজেপি জমিদাররা কীভাবে বাংলা বিরোধী? এ বিষয়ে জনগণের মতামত চাওয়া হবে। কী ভাবে জমিদাররা বিজেপি বাংলাকে তার পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছে, সেই বিষয় তুলে ধরা হবে। কী ভাবে তৃণমূল নেত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন গণমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে, তুলে ধরা হবে তার বর্ণনা। প্রচারের মধ্যে যে ১২ টি লোকসভা আসনে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে, সেই কেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নজর দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ধারাবাহিক জনসভা এবং ছোট মিটিং করা হবে পাড়ায় পাড়ায়।
প্রসঙ্গত, আগামী আর্থিক বর্ষের বাজেট পেশের সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের জন্য এই প্রকল্পের ভাতা বৃদ্ধি করে ১০০০টাকা করেছে, তফসিলি মহিলাদের জন্য এই ভাতা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০টাকা। এপ্রিল মাস থেকেই বর্ধিত হারে টাকা পাওয়ার কথা রয়েছে আবেদনকারীদের। সেই বিষয়টিকে এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে তৃণমূল বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।