ভারতের সব রাজ্যের নাম মুখস্থ, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে দু'বছরের বাঙালি শিশু
এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৪
বয়স মাত্র দুই বছর। এখনো স্পষ্ট করে কথা বলতে শেখেনি। কিন্তু অস্পষ্ট ভাবেই অনায়াসে বলতে পারে ভারতের ২৮টি রাজ্যের নাম। সেই রাজ্যের প্রধান প্রধান শহরের নাম, কয়েকটি দেশের নাম এবং তাদের রাজধানীর নাম। বিরল কৃতিত্বের স্বীকৃতি পেল ছোট্ট রূপক দাস।ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার ফটকরোয়ের রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা দু বছরের রূপক দাস। বাবা বাপ্ত চন্দ পেশায় ত্রিপুরা স্বাস্থ্য বিভাগের একজন ফার্মাসিস্ট। মা রূপালি দাস একসময় একজন স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন।
রূপক দাসের এই সাফল্যের জন্য তার বাবা যাবতীয় কৃতিত্ব দিয়েছেন রূপকের মা রূপালি দাসকে। রূপকের মা জানিয়েছেন, রূপক কথা বলতে শেখার সঙ্গে সঙ্গেই জিনিস চিনতে শুরু করে। সে তার নিজস্ব ভাঙ্গা ভাঙ্গা ভাষায় উচ্চারণ করার একটি ব্যতিক্রমী ক্ষমতা তার মধ্যে দেখতে পান তিনি। তার দ্রুত শিখতে পারার এই ক্ষমতা দেখার পরই তার মা রূপালি দাস তাকে ভারতের সমস্ত রাজ্য এবং রাজধানীর নাম শেখাতে শুরু করেন। মাত্র এক বছর বয়সেই রূপক দিব্যি সেই সব নাম মুখস্থ করে ফেলে। তারপর তাকে ভারতের মানচিত্রে রাজ্যগুলি সনাক্ত করতে শেখান তার মা। মানচিত্র দেখেও খুব সহজেই ভারতের সবকটি রাজ্য সনাক্ত করে ফেলে রূপক। রূপকের এই দ্রুত শিখে ফেলার অভ্যাস তাকে তাদের রাজধানী সহ বিভিন্ন দেশের নাম ও অবলীলায় শিখে ফেলে রূপক। ছেলের এই প্রতিভা দেখে মা রূপালি দাসই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে ছেলের নাম নিবন্ধিত করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন।
আবেদনের পর কয়েক দফা যাচাই বাছাই করার পর অবশেষে রূপক দাসকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস। শুধু তাইনয় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের পক্ষ থেকে দু বছরের ছোট্ট রূপককে একটি সার্টিফিকেট এবং একটি মেডেলও দিয়েছে।
চলতি বছরে আরও এক খুদের নাম উঠেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তালিকায়। মা্র দশ বছর বয়সেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠেছে বাংলার হিলির বাসিন্দা ইমন মণ্ডলের। মাত্র দশ বছর বয়সেই ইমনের স্মৃতির মধ্যে গেঁথে গেছে ইসলাম ধর্মগ্রন্থের দটি বড় সুর। শুধু তাই নয়, অনায়াসে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নাম এবং রাজধানীর নাম এক নাগাড়ে বলে যেতে পারে সে। বলতে পারে পৃথিবীর দশটি বড় স্ট্যাচুর বিবরণ সহ নানা ধরণের আবিষ্কারের খুঁটিনাটিও।