অনুপ্রেরণা প্রাক্তন স্ত্রী? সুজাতার পর এবার সেলুনে সৌমিত্রও
এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৪
কিছুদিন আগেই কোতুলপুরের সেলুনে ঢুকে চুল কাটতে দেখা গিয়েছিল সুজাতা মণ্ডলকে। এবার চুল না কাটলেও সেলুনে গিয়ে বসলেন সৌমিত্র খাঁও। আড্ডা দিলেন গ্রাহকদের সঙ্গে। আর এই 'চুল নিয়ে চুলোচুলি' প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে।এইবার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল এবং বিজেপির প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। ভোটের ময়দানে মুখোমুখি প্রাক্তন। ইতিমধ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তাঁরা। সম্প্রতি প্রচারে নেমে একটি সেলুনে ঢুকে এক গ্রাহকের চুল কাটতে দেখা যায় সুজাতা মণ্ডলকে। সেই ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল।
এবার একই পথে হাঁটলেন সৌমিত্র খাঁও। তিনি একটি সেলুনে যান বটে। তবে হাতে নিলেন না কাঁচি। আড্ডা দিলেন সকলের সঙ্গে। দুই প্রার্থী কেন সেলুনে ছুটছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের। কোতুলপুরে ভোট প্রচারে যান সৌমিত্র খাঁ। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চপ মুড়ি খান তিনি। কোতুলপুরের স্থানীয় একটি ক্লাবে বসন্ত উৎসবে যোগ দেন। এরপর ঠাৎ করেই কোতুলপুর সবজি বাজারে ভোট প্রচার ও জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খেলেন চপ মুড়ি। গত ১৬ মার্চ কোতুলপুরে ভোট প্রচারে গিয়ে সেলুনে ঢুকে এক যুবকের চুল কাটেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। তবে এদিন সৌমিত্র খাঁ সেলুনে ঢুকেছেন ঠিকই। কিন্তু, কারও চুল কাটেননি। তবে দীর্ঘ সময় সেখানে আড্ডা দিয়ে সারলেন জনসংযোগ।
সৌমিত্র খাঁ বলেন, 'কোতুলপুর আমার নিজের ঘর। কোতুলপুরের মাটি আমায় বড় করেছে। কোতুলপুরের প্রতিটা কাজ আমি করেছি। এখানে ভোট চাইতে বলতে হয় না। ১৩ বছর ধরে এই ব্লকের সঙ্গে যুক্ত। এখানে বড় হয়েছি। এখানে ভোট চাইতে বলতে হয় না।'
এদিকে সৌমিত্রের সেলুনে গিয়ে জনসংযোগ সারা প্রসঙ্গে কোতুলপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তরুণ নন্দীগ্রামী সৌমিত্র খাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, 'ওঁর পয়সা দাম নেই। আমরা যা করি তাই নকল করেন।'
চুল নিয়ে রীতিমতো চুলোচুলি দুই দলের! উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগদান করেন সুজাতা মণ্ডল। সেই সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে কাঁদতে কাঁদতে সুজাতাকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। এরপর তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হয়। সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। নতুন করে সংসারও পেতেছেন সৌমিত্র।