বিষ্যুদে কৃষ্ণনগরের প্রচার ময়দানে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গেল মহুয়া মৈত্রকে। তিনি এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে সারলেন জনসংযোগ। আবার কখনও বানালেন চা। এদিকে সূত্রের খবর, এদিনই তৃণমূলের এই প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। যদিও এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাসিমুখে মহুয়ার পালটা প্রশ্ন, ‘কে ডেকে পাঠিয়েছে?’এদিন প্রচারে বেরিয়ে একাধিক বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। ED তলব নিয়েও প্রশ্ন করা হয় তাঁকে।
সংবাদ মাধ্যম: আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছে, আপনি কি যাবেন?
মহুয়া মৈত্র: কে ডেকে পাঠিয়েছে?
সংবাদ মাধ্যম: ED ডেকে পাঠিয়েছে...
মহুয়া মৈত্র: আপনাকে সেটা কে বলল? আমি দুই সপ্তাহ আগে দিল্লি হাইকোর্টে কেস করেছিলাম যে ইডি মিডিয়াকে তথ্য লিক করছে। ইডি সেই সময় হলফনামা দিয়ে বলেছিল, আমরা কাউকে কিছু বলছি না। আমি তো আপনাদের কিছু বলিনি। আপনারা কি দেখেছেন সেই সমন? ED তো জানিয়েছে হলফনামা দিয়ে যে ওরা কী করছে তা বলবে না মিডিয়াকে। আমি তো প্রচার করছি। আপনাদের কাছে কে এই খবর দিয়েছে তা বলতে পারব না।
পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় প্রসঙ্গেও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষ একটাই রাজা জানেন, রাজা রামমোহন রায়। একটাই রানি জানেন রানি রাসমণি। এর বাইরে কোনও রাজা রানি আছে কিনা তা আমার জানা নেই। আমাদের কাছে রাজা রানি মানুষ। গণতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা।’
প্রচারে বেরিয়ে উন্নয়ন প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য, ‘আমাদের কাজ মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া।’ পাশাপাশি অমৃতা রায়কে ফোন করেছিলেন স্বয়ং মোদী। মহুয়া মৈত্রের প্রতিদ্বন্দ্বীকে মোদীর ফোন নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। এই প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমার ফোনকলও জাসুস লাগিয়ে, পেগাসাস লাগিয়ে শোনেন। তিনি আমার ফোনও শোনেন, অন্যকে ফোন করেন। তাঁর ফোনের মধ্যে কী ব্য়স্ততা, আমার অত সময় নেই।'
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সদস্য অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁকে ফোনও করেন নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রসঙ্গে এবার কটাক্ষের সুর শোনা গেল মহুয়ার কণ্ঠে। এদিন প্রচারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই পোস্ট করেছেন মহুয়া। যেখানে সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে তাঁদের সঙ্গে কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।