• চাবি নিয়ে স্কুলের মধ্যেই ২ শিক্ষকের মারামারি, হাতে কামড়ে দিলেন হেডমাস্টার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটল স্কুলে। প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের মধ্যে হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল স্কুল চত্বর। কিল, চড়, ঘুষি, থাপ্পড় তো বটেই এমনকী এক শিক্ষককে কামড়ে দিলেন অপর শিক্ষক। এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। ঘটনাটি মালদার মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলের। শুধুমাত্র চাবি চাওয়া নিয়ে দুই শিক্ষক যে কাণ্ড ঘটালেন তাতে সমালোচনায় সরব হয়েছেন অবিভাবক থেকে শুরু করে অন্যান্য শিক্ষকরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই শিক্ষকই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন।

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষকের নাম বাদিউজ্জামান এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের নাম সুনন্দ মজুমদার। মূলত গেটের চাবি চাওয়া নিয়ে এই দুই শিক্ষকের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। স্কুল সূত্রের খবর, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে গেটের চাবি চেয়েছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক। কিন্তু, সেই চাবি দিতে অস্বীকার করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। তা নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রথমে বচসা ও পরে শুরু হয় হাতাহাতি। দুজনেই একে অপরকে কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। সেই সময় প্রধান শিক্ষক সহকারী প্রধান শিক্ষকের হাতে কামড়ে দেন বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    সহকারী প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, তিনি টিফিনের সময় নিজের কাজে ব্যাঙ্কে যেতে চেয়েছিলেন। তবে গেটে তালা লাগানো থাকায় প্রধান শিক্ষকের কাছে চাবি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, প্রধান শিক্ষক সেই চাবি দিতে অস্বীকার করেন। এর পরে আচমকা তাঁর ওপর চড়াও হন। এমনকী আটকাতে গেলে তাঁর হাতে কামড়ে দেন প্রধান শিক্ষক। তার জেরে রক্তপাত হতে শুরু করে। এই ঘটনায় তিনি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

    অন্যদিকে, পালটা সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন প্রধান শিক্ষক বাদিউজ্জামান। তিনি বলেছেন, স্কুল ছুটির আগে কারও বাইরে যাওয়ার নিয়ম নেই। চাবি না দেওয়ার কারণে সুনন্দবাবু তাঁর ওপর চড়াও হন। পরে দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ পালটা অভিযোগ জানিয়েছেন দুই শিক্ষক। তবে এমন ঘটনার জেরে পড়ুয়াদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)