• অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে বোমা ফাটানোর এক মাস পর শো-কজ করা হল হনুমাকে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • মধ্যপ্রদেশের কাছে রুদ্ধশ্বাস কোয়ার্টার ফাইনাল হেরে রঞ্জি ট্রফি থেকে ছিটকে যাওয়ার পরেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় বোমা ফাটিয়েছিলেন হনুমা বিহারী। অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে তুলোধনা করেন তাঁর সঙ্গে অন্যায় আচরণ করার জন্য়। তাঁকে কোনও কারণ ছাড়াই নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। ক্রিকেট সংস্থার আচরণে অপমানিত হনুমা ক্ষোভের সঙ্গেই জানিয়ে দেন যে, দলকে ভালোবাসলেও, আর কখনও খেলবেন না অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে। তবে হনুমার এই বিদ্রোহের জেরে তাঁকে শো-কজ করা হয় অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে।

    ভারতীয় ব্যাটসম্যানের বিস্ফোরণের এক মাস পরে অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে হনুমা কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছিলেন। যদিও কয়েক দিন আগে এসিএ অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকের পরে পাঠানো নোটিশের উত্তর এখনও দেননি হনুমা বিহারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসিএ-এর একজন কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমরা ওকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি এবং আমরা ওর উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি।’

    তবে ওই কর্মকর্তা এও বলেছেন, এই বিষয়টি তারা আর দীর্ঘায়িত করতে চায় না। তাঁর দাবি, ‘আমরা শুধু জানতে চাইছি, গত মাসে ও যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, সেটার পিছনে কী কারণ রয়েছে। ও আমাদের কাছে এসে কিছু বলেনি। তাই ওর অভিযোগগুলো ও জানাতে পারে। রাজ্যের ক্রিকেটের উন্নতিতে বিহারীর যে অবদান রয়েছে, তা আমরা মূল্যায়ন করেছি। কারণ তিনি অন্ধ্রের ঘরোয়া ক্রিকেটকে উপরে তুলে আনতে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে।’

    এক সংবাদমাধ্যমকে হনুমা আবার বলেছেন, ‘আমি অন্য দলের হয়ে খেলতে চাই। অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থার কাছে ছাড়পত্র চেয়েছি। ওদের উত্তরের অপেক্ষায় আছি।’ রাজ্য সংস্থার চিঠির জবাবে হনুমা জানতে চেয়েছেন, তাঁর সঙ্গে এমন ব্যবহার কেন করা হয়েছে।

    রঞ্জি ট্রফিতে অন্ধ্রের শেষ ম্যাচের পর বিদ্রোহ করেছিলেন হনুমা। ক্রিকেট দলে রাজনৈতিক দলের প্রভাব রয়েছে বলে, দাবি করেছিলেন তিনি। হনুমা সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন তাঁর দলের সতীর্থকেই। বিহারী তাঁর চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক ছিলাম। সেই ম্যাচে দলের ১৭ নম্বর খেলোয়াড়ের উপর চিৎকার করেছিলাম। ও গিয়ে নিজের বাবাকে (যিনি একজন রাজনীতিবিদ) অভিযোগ করে। ওর বাবা রাজ্য সংস্থাকে নির্দেশ দেন, আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। গত বারের ফাইনালিস্ট বাংলার বিরুদ্ধে আমরা ৪১০ তাড়া করে জিতলেও, কোনও কারণ ছাড়াই অধিনায়করে পদ থেকে আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।’

    এর পরে কেএন প্রুধবিরাজ নিজেই প্রকাশ্যে আনেন নিজের পরিচয়। হনুমা যে ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, তিনিই প্রুধবিরাজ। তিনি দাবি করেন, ‘আমিই সেই ছেলে যাকে আপনারা সবাই খুঁজছেন। যা আপনারা শুনেছে তা সম্পূর্ণ অসত্য। কেউই খেলাটার থেকে উঁচুতে নয়। আমার আত্মসম্মানও বাকি সব কিছুর থেকে উপরে। যে কোনও মাধ্যমেই ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং খারাপ ভাষা গ্রহণযোগ্য নয়। সবাই জানে সে দিন কী ঘটেছিল। সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে। যে ভাবেই হোক না কেন।’

    এর পরেই বিহারী একটি চিঠি পোস্ট করেন। সেই চিঠিতে তাঁর ১৫ জন সতীর্থের সই রয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, বিহারীর বিরুদ্ধে এক সতীর্থকে খারাপ ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সে দিন কেউ ওই ক্রিকেটারকে খারাপ ভাষায় আক্রমণ করেননি বা গালিগালাজ করেননি। যে ভাষায় কথা বলা হয়েছে, তা সাজঘরে প্রায়ই বলা হয়ে থাকে। এতে দলের থেকে সেরাটা বেরিয়ে আসে। অনেক দিন ধরেই তা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি। যাইহোক সেই ঝামেলার জের এখনও অব্যাহত রয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)