• দক্ষিণে আসন সমঝোতা নিয়ে জোর চেষ্টা করছে সিপিএম, কংগ্রেসের দাবি বাড়ছে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • সমঝোতা কতদূর?‌ রাজ্য–রাজনীতিতে এই প্রশ্ন এখন ভীষণ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ লোকসভা নির্বাচন দুয়ারে। প্রার্থী তালিকা সম্পূর্ণ প্রকাশ করতে পেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং এসইউসিআই। বাকি কোনও দলই প্রার্থী তালিকা সম্পূর্ণ প্রকাশ করতে পারেনি। ৪২টি আসনে প্রার্থী দিতে হিমশিম খেয়েছে বিজেপি। এখন চারটি আসন প্রার্থী দেওয়া বাকি তাদের। আর বামফ্রন্ট–কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হচ্ছে না। ফলে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাংলার ৮টি লোকসভা আসনে এখনও পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। বামফ্রন্টের প্রার্থী দিয়েছে ২১ আসনে। এগুলি হয়েছে আসন সমঝোতার মাধ্যমেই। দার্জিলিং আসন কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রেখেছে সিপিএম। আর দক্ষিণবঙ্গে আরও দু’টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়ছে তারা। তবে আসন দুটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কংগ্রেস বাংলায় ১২টি আসন দাবি করছে বলে সূত্রের খবর।

    এদিকে এখন উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার একটি করে আসন নিয়ে আলোচনা চলছে। সমঝোতা হলে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর এবং বনগাঁর মধ্যে একটি আসন কংগ্রেসকে দেবে সিপিএমের। অজয় এডওয়ার্ড আজ বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে যোগ দিলেন। দার্জিলিং আসন কংগ্রেসকে ছাড়ছে সিপিএম। ফলে সেখানে তিনি প্রার্থী হতে পারেন। তবে প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি আজহার মল্লিকের জন্য একটি আসন বের করতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই উলুবেড়িয়া আসন কংগ্রেসকে দিতে পারে সিপিএম। আসন সমঝোতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই সাংগঠনিক জেলার দলীয় সভাপতি এআইসিসি’‌কে চিঠি পাঠিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি আসন কংগ্রেসকে জন্য ছাড়তে পারে সিপিএম বলে সূত্রের খবর। তবে না আঁচালে বিশ্বাস নেই বলছে কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন:‌ নবীনবরণকে কেন্দ্র করে মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সরগরম

    অন্যদিকে আইএসএফের মনোভাব এখনও পরিষ্কার নয়। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সিপিএম। মালদা উত্তর, মুর্শিদাবাদ, শ্রীরামপুর কেন্দ্রে আইএসএফ’‌কে প্রার্থী তুলে নেওয়ার বার্তা সিপিএমের পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও নওসাদ সিদ্দিকীর দল এখনও সাড়া দেয়নি। বিধানসভা উপনির্বাচনে বরাহনগর কেন্দ্র কংগ্রেসকে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা আসনে লড়তে চাইছে কংগ্রেস। কিন্তু দিতে চাইছে না সিপিএম। আসলে এখানে একটু জল মাপতে চাইছে সিপিএম।

    এছাড়া কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট মেনে নিতে পারছেন না কংগ্রেসের অনেক জেলা সভাপতিরা। তাই তাঁরা জোট প্রার্থীদের হয়ে কাজ করবেন না। আবার তাঁরা বসে যেতে পারেন। এমন আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। এটা যদি ঘটে তাহলে প্রকারান্তরে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসকে সাহায্য করা হবে। এই অবস্থা হতে পারে বুঝতে পেরে আবার ডাকা হচ্ছে বামফ্রন্টের বৈঠক। সেখানেই ঠিক করা হবে কৌশল। কংগ্রেসও বৈঠকে বসছে। তারপর দু’‌পক্ষের সমঝোতার পরিস্থিতি দেখে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)