• শক্তিশালী সৈন্যরাই সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় বসে- MI প্লেয়ারদের তাতালেন হার্দিক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • সচিন তেন্ডুলকর হয়তো ১১ বছর আগে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ঘিরে তিনি এখনও আবেগপ্রবণ। তিনি ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্রথম ব্যাটার, যিনি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এখন সচিন তেন্ডুলকর এই ফ্র্যাঞ্চাইজির পরামর্শদাতা হিসেবে দলের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত। এবং যদিও তিনি বেশির ভাগ সময়ে তাঁর আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখেন। তবে দলের প্রয়োজনে তিনি সব সময়ে পাশে এসে দাঁড়ান।

    বুধবার রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হারের পর সচিন তেন্ডুলকর এমআই প্লেয়ারদের সঙ্গে নিজের মত শেয়ার করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে প্লেয়ারদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছেন। হার্দিক পান্ডিয়া দলকে তাতাতে, হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতোই বক্তব্য রেখেছেন।

    নিজেদের প্রথম ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের কাছে ছয় রানে হারের পর, বুধবার তারা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছেও হেরে বসে থাকে। ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা এবং হেনরিখ ক্লাসেনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের হাত ধরে হায়দরাবাদ ৩ উইকেট হারিয়ে রেকর্ড ২৭৭ রান করে। আইপিএলের ইতিহাসে কোনও দলের করা এটা সর্বোচ্চ রান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলারদের একেবারে ল্যাজেগোবরে করে ছাড়েন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। তবে পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও লড়াই করেছিল। তবে তারা নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ২৪৬ রানই করতে পারে। ৩১ রানে ম্যাচটি হেরে বসে থাকে মুম্বই।

    তেন্ডুলকর ম্যাচের পর মুম্বইয়ের ড্রেসিংরুমে এসে বলেছেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসের সময়ে বিপক্ষ ২৭৭ রান স্কোর করা সত্ত্বেও, ১০ ওভার পর্যন্তও কিন্তু কেউ বুঝতে পারছিল না, কারা জিতবে। পুরো ওপেন গেম ছিল। সেই সময়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোটা অসম্ভব বলে মনেও হচ্ছিল না। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে, আমরা ভালো ব্যাট করেছি। তাই সবাই মিলে একজোট হয়ে লড়াই করি। আর শক্ত হাতে হাত ধরে থাকি। আরও কঠিন মুহূর্ত আসতে চলেছে। আমরা একটি দল হিসেবে একসঙ্গে খেলব এবং জয় ছিনিয়ে আনব।’

    এমআই ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়াও দলকে নিজের মতো করে অনুপ্রাণিত করেন। দলকে তাতাতে তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী সৈন্যরাই সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় বসে। এবং আমরা এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। আমরা যেখানে পৌঁছেছি, ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে বা সামগ্রিক ভাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স হিসেবে, তার কাছাকাছি যে কেউই আসতে পারত। আমাগদের বোলারদের নিয়েও আমরা সত্যিই গর্বিত। এমন কী যখন কঠিন সময় যায়, তখনও আমি কাউকে পালাতে দেখিনি। সবাই বল চেয়েছিল এবং এটি একটি ভালো লক্ষণ। তাই আসুন, আমরা নিশ্চিত করি যে, যাই ঘটুক না কেন একে অপরকে আমরা সব সময়ে সাহায্য করব। খুব খারাপ, খারাপ বা ভালো যেমনই পরিস্থিতি হোক, আমরা একসঙ্গে লড়াই করব।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)