• ‘বাড়ির থেকেও ভাল!’ দইয়ের পর এবার হুগলির ঘুগনির প্রশংসায় রচনা, খেলেন, খাওয়ালেনও
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • দিন কয়েক আগে প্রচারে বেরিয়ে হুগলির দই খেয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। প্রশংসা করতে গিয়ে আগুপিছু কিছু কথার জেরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার প্রচারে বেরিয়ে এবার ঘুগনি খেলেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু খাননি, খাইয়েছেনও। তবে এদিনও ঘুগনির প্রশংসা করেছেন রচনা।  তবে সেই প্রশংসায় কোনও নতুন বিতর্ক তৈরি হয়নি।

    বৃহস্পতিবার পান্ডুয়ার শিখিরা চাপতা পঞ্চায়েতের বেলে গ্রামে ভোট প্রচারে যান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে  রাস্তার পাশে গরম ঘুগনি বিক্রি হচ্ছে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন। নিজে ঘুগনি খান দলীয় কর্মীদেরও খাওয়ান। হাজির ছিলেন সাংবাদিকরা। এক সাংবাদিক যখন জিজ্ঞাসা করেন, ঘুগনি কেমন, তখন উত্তরে রচনা বলেন, ‘বাড়ির থেকে ভাল’। এ নিয়ে আরও কোন বাড়তি বাক্য ব্যয় তিনি করেননি। ঘুগনি হাতে হাতে কর্মীদের দিতে থাকেন তিনি। প্রথমে মহিলা কর্মীদের দেন, পরে পুরুষ কর্মীদের। ক্ষেতে কাজ করা মহিলারাও ছুটে আসেন রচনাকে দেখে। তাঁদেরও ঘুগনি দেন তৃণমূল প্রার্থী।

    এরপর মাঠে আলু তোলা হচ্ছে দেখে জমিতে নেমে পরেন।ক্ষেত মজুরদের সঙ্গে বসে গল্প করেন।

    বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটি নিয়ে এসেছেন হেরে গিয়ে আবার দিদি নম্বর ওয়ান চলে যাবে। রাজনীতিতে একেবারেই অনভিজ্ঞ।

    তারই জবাববে রচনা বলেন, ‘আমি ছুটি নিয়ে আসিনি। আমি ওর মত নই। ও তো ছুটি নিয়ে এসেছিল পাঁচ বছর আগে। আমি রাজনীতিতে নতুন। কিন্তু মন থেকে করব। আর মন থেকে যেটা করা যায় সেখানে জয়ী হওয়া যায়।

    কয়েক দিন আগে সিঙ্গুরে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে দই খেয়ে রচনা বলেছিলেন, ‘সিঙ্গুরের জমির ঘাস খেয়ে গরু হৃষ্টপুষ্ট হয়। আর সেই গরুর দুধ থেকে ভাল দই হয়। আমি যখনই বাড়ি যাব তখন দই নিয়ে যাব। আর আজ ঘুগনি খেয়ে বলেন, ‘এখানে সবই ভাল, ঘুগনীয় ভাল। আমি তো শুধু খাওয়ার মধ্যেই আছি। নিজে খাচ্ছি অন্যদেরও খাওয়াচ্ছি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)