• Lok Sabha Election 2024: 'প্রধানমন্ত্রীকে ভয় পাচ্ছেন কেন?' প্রশ্ন বিজেপির একমাত্র সলিম প্রার্থী আবদুল সালেমের
    এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
  • এখনও পর্যন্ত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যে ক'জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি তাঁর মধ্যে একজনই মুসলিম প্রার্থী রয়েছেন। বিজেপির তরফে মুসলিম প্রার্থী হলেন এম আবদুল সালাম। বিজেপির ৪০০ জনের বেশি প্রার্থীর মধ্যে এম আবদুল সালামই একমাত্র মুসলিম মুখ। কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য কেরালার মুসলিম অধ্যুষিত মাল্লাপুরম আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।২ মার্চ বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকাতেই নাম ছিল আবদুল সালামের। ওই দিন এক সাক্ষাৎকারে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সহ-সভাপতি বলেন, 'কয়েক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধারণা বদলে গিয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের। মুসলিম সম্প্রদায়ের তাঁকে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।' সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সালাম বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে মুসলিমদের ধারণা ধীরে ধীর বদলে যাচ্ছে। গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী মোদি কি কোনও মুসলমানকে আঘাত করেছেন? কেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ভয় পাবে মুসলিম সম্প্রদায়?' সালামের সংযোজন, তিনি বেশ কয়েকটি মুসলিম পরিবারের মা-বোনদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই তিন তালাক প্রথা বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সমর্থন করেছেন।

    ৭১ বছর বয়সী কৃষি বিশেষজ্ঞ সালামের লেখা ৭০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত বিজেপির সাতটি প্রার্থী তালিকায় একমাত্র মুসলিম মুখ হতে পেরে সম্মানিত বোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন সালেম। তাঁর কথায়, ' দেশের মুসলিম নেতাদের বিজেপিতে যোগদান করা উচিত।' ভারতকে বিশ্ব শক্তিতে পরিণত করতে সকলকে দলের মিশনের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    হিন্দুস্থান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সালাম বলেন, 'একজন শিক্ষিত একজন শিক্ষিত মুসলিম হিসেবে, ভারতকে বিশ্বশক্তিতে পরিণত করার এই মিশনে মোদির সঙ্গে যোগ দেওয়াকে আমি আমার কর্তব্য বলে মনে করি। যারা ভারতের উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত হয় তাদের হাতের পুতুল হয়ে থাকা কখনই উচিত নয়।'

    অন্যদিকে, সিএএ বিতর্কে কংগ্রেস ও বামকে যৌথভাবে আক্রমণ করেছেন সালেম। সালামের অভিযোগ, কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম)-মিথ্যাভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিধিগুলিকে মুসলিমদের কাছে অপব্যাখ্যা করছে। তাঁর অভিযোগ, শুধুমাত্র ভোট জিততে মুসলিমদের কাছে অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে। সালেমের কথায়, 'সিএএ সংখ্যালঘুদের প্রতি ন্যায়বিচার। বিভাজনের প্রভাব যাঁদের জীবনের পড়েছিল তাঁদের অধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের মধ্যে নেই মুসলিমরা। ওইসব দেশে মুসলিমরা সংখ্যালঘু নয় এবং সেখানে কোনও নিপীড়নের সম্মুখীন হন না তাঁরা। CAA হল দেশভাগের সময় পাকিস্তানে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের প্রতি একটি প্রতিশ্রুতি। মুসলমানদের বোঝা উচিত কেন তাঁদের নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য অভিবাসীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।'
  • Link to this news (এই সময়)