‘উনি বামমনস্ক উদারপন্থী’ নির্মলা সীতারামনের স্বামীকে নিয়ে কটাক্ষ সুকান্তর
এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
‘ইলেক্টোরাল বন্ড দেশের অন্যতম বড় দুর্নীতি’ – এমনটাই বলতে শিনা গিয়েছে দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী পরাকলা প্রভাকর। ভোটের মুখে এমন বিস্ফোরক মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। দেশের অর্থমন্ত্রীর স্বামী তথা অর্থনীতিবিদ নিজেই যখন এ কথা বলছেন, তখন দুর্নীতির শিকড় আরও গভীরে, বলে দাবি বিরোধীদের। এবার নির্মলা সীতারামনের স্বামী সমালোচনায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বলে, ‘যাঁর কথা বলছেন, তাঁর পরিচয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামীর বাইরে অন্য পরিচয় আছে। এটা আপনারা খোঁজ নিন, তাহলেই জানতে পারবেন। এরা লেফ্ট লেবারাল গ্যাং-এর সদস্য।’ অর্থমন্ত্রীর স্বামী বামমনস্ক বলে আক্রমণ সুকান্ত মজুমদারের।
সুকান্ত যুক্তি দেন, এই ইলেক্টোরাল বন্ড বিষয়টি আসার কারণে এখন তো তাও টাকার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে তো সেটাও পাওয়া যেত না। এটা হয়তো শ্রেষ্ঠ উপায় নয়, ভবিষ্যতে এর থেকে কোনও ভালো পদ্ধতি এলে, তখন সেটা ব্যবহার করা হবে। তবে অর্থমন্ত্রীর স্বামী নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মন্তব্য করায় সুকান্ত জানান, এখন তো সেটাই বলবে। তারা চায় চিনের টাকা আসুক এদেশ। চিনের ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলিকে ফান্ডিং করুক। অভিযোগ উঠেছে, কেজিবি-র রিপোর্ট আছে, যে সিপিআইএম-কে, কমিউনিস্ট পার্টিকে সেই সময় রাশিয়া সাহায্য করত। সেসময় ইলেকট্ররাল বন্ড থাকলে ধরা পড়ে যেত। বন্ড ছিল না তাই ধরা পড়েনি- মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের।
SBI Electoral Bonds Data : নির্বাচনী বন্ডে আয়ের নিরিখে প্রথম তিনে কারা? জানুন বিস্তারিত
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে ইডি তলবের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, ইডি ডাকলে পরে, ইডির বাঁশি হচ্ছে কৃষ্ণের বাঁশির মতো। শুনলে অথবা কানে প্রবেশ করলে আজ না হয় কাল দৌড়ে যেতেই হবে। রাধা যেমন দৌড়ে যেত। এই রাধাও দৌড়োবে চিন্তা নেই। কৃষ্ণ সবে বাঁশি বাজাতে শুরু করেছে।
বুধবার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকে নির্বাচনী প্রচারে আসেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন সহ ইটাহার ব্লকের একাধিক জায়গায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত বাবু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। ভেবেছিলাম আগের মত ইটাহার এলাকায় পিছিয়ে আছি। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে আমার পারসেপশন চেঞ্জ হচ্ছে। এবার আমরা ইটাহারে লিড পাব।’