• ৭৫ কিমি গতিতে স্পিড ট্রায়াল, দমদম ক্যান্টনমেন্ট লাইন এগল আরও একধাপ
    এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
  • কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় একাধিক রুটে কাজ চালাচ্ছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এবার নবনির্মিত দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পরির্শদন করলেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। বৃহস্পতিবার, নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট লাইনে ট্রলিতে পরিদর্শন করলেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনক কুমার গর্গ।এদিন এন্ট্রি এবং এক্সিট গেটস, এএফসি-পিসি গেটস, টিকিট সিস্টেম, এস্কেলেটর, লিফট, সাইনেজ বোর্ড, ফায়ার ডিটেকশন ও সাপ্রেশন সিস্টেম এবং যাত্রী পরিষেবার অন্যান্য বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন তিনি। স্টেশন কন্ট্রোল রুম, ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং (ইআই) সিস্টেমের সঙ্গে যাত্রী বিনিময় ব্যবস্থাও পরিদর্শন করেন। এছাড়া দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশনে সিগন্যাল ইকুইপমেন্ট রুম, বুকিং কাউন্টারও খতিয়ে দেখেন তিনি। অন্যদিকে নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন এবং ফিরতি পথে সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার গতিতে স্পিড ট্রায়ালও হয়।

    প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে নোয়াপাড়া - বারাসত মেট্রো করিডরের (হলুদ লাইন) নোয়াপাড়া - বিমানবন্দর অংশের নোয়াপাড়া এবং দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের মধ্যে প্রথমবার ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়। পরীক্ষামূলকভাবে ছোটান হয় একটি রেক। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ওই দিন সন্ধ্যা ৬ টা ১৮ মিনিটে ট্রায়াল রান শুরু হয়। ট্রায়াল রানের সময় মোট দু'টি রাউন্ডের ট্রিপ সম্পূর্ণ করেছে। শুধু তাই নয়, শুরুতেই গতির ঝড় তোলে মেট্রো। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৩ কিলোমিটার বেগে ছোটে ওই ট্রায়াল রেকটি।

    নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর স্টেশনের মোট দূরত্ব ৬.৫ কিলোমিটারের মতো। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, নোয়াপাড়া এবং দমদম ক্যান্টনমেন্টের তিন কিমি লাইন নিয়ে বিশেষ কোনও সমস্যা নেই। ওই অংশের কাজ একপ্রকার মসৃণভাবে এগিয়ে গিয়েছে। আপাতত শেষ পর্যায়ের বিষয়গুলি দেখে নেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আশা করা হচ্ছে, ফলে সেই অংশে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করতে আর বেশিদিন সময় লাগবে না।

    যদিও মেট্রো সূত্রে খবর, দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পেরোনোর পরেই জটের মুখে পড়তে হয় কর্তৃপক্ষকে। জবর দখলের জেরে কাজ এগনোর ক্ষেত্রে সমস্যাও তৈরি হচ্ছিল। যদিও আপাতত সেই সমস্যা মোটামুটি কেটে গিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এই লাইনে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের পরই যশোর রোড স্টেশন। আর তার পরের স্টেশনই বিমানবন্দর। এক্ষেত্রে এসপ্ল্যানেডের মতো বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশনকেও ইন্টারচেঞ্জিং পয়েন্ট করে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে একদিকে নিউ গড়িয়া - বিমানবন্দর ও অন্যদিকে নোয়াপাড়া - বারাসত লাইনের মিলনক্ষেত্রে হয়ে উঠবে ওই স্টেশন।
  • Link to this news (এই সময়)