• Berhampore: ‘মরা মাছের রাজনীতি’, ভোটের আগে কংগ্রেস-তৃণমূলের বাক যুদ্ধে তপ্ত বহরমপুর ...
    আজকাল | ২৯ মার্চ ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বহরমপুরের লালদীঘিতে মাছের মৃত্যুর দায়িত্ব কার? আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে গোটা বহরমপুর জুড়ে এই ইস্যুতে জোর চাপানউতোর তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে। বহরমপুরবাসীর কাছে কংগ্রেস প্রমাণ করতে মরিয়া যে শহরের পুরসভা যথাযথ ভাবে কাজ করছে না। ফলে, দীঘির জলে মাছ মরে তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে নষ্ট হচ্ছে শহরের পরিবেশ। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে বাজার গরম করার রাজনীতি করছেন অধীর চৌধুরী। প্রসঙ্গত, গসোমবার থেকে হঠাৎই লক্ষ্য করা যায় দীঘিতে প্রচুর পরিমাণে ভেসে উঠেছে মরা মাছ। ব্যবসায়ীদের অনুমান, কমপক্ষে ৪০ কুইন্টাল মাছের মৃত্যু হয়েছে। বিষাক্ত হয়ে পড়েছে জল। মরা মাছ জলে পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। মরা মাছ জল থেকে তোলা হলেও এখনও পচা গন্ধ রয়ে গেছে গোটা এলাকা জুড়ে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বহরমপুর পুরসভা তার দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে থেকে অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী লালদীঘিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, ‘বহরমপুরে পৌরসভা আছে না চৌরসভা আছে তা আমার জানা নেই। ঘটনাটি পুর দপ্তরের সচিবকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করবেন’। কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, লালদীঘি এলাকার আশেপাশে প্রচুর মানুষের বাস। এই এলাকা দিয়ে রোজ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। মরা মাছের দুর্গন্ধে সাধারণ মানুষ চলাফেরা করতে পারছেন না’। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার জন্য অধীর চৌধুরীর অতিসক্রিয়তাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জী। তিনি বলেন, ‘বহরমপুরে নিজের হার নিশ্চিত বুঝে অধীর চৌধুরী এখন জল, স্থল, আকাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন রাজনীতি করার জন্য। উনি নিজের বাড়িতে এবং পার্টি অফিসে একাধিক কুখ্যাত ক্রিমিনালকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন। এরপরে আমরা লোক নিয়ে উনার বাড়ি এবং পার্টি অফিসে ঢুকে সেখানেও রাজনীতি করব’। অধীর চৌধুরীকে কড়া ভাষায় সাবধান করে নাড়ুগোপাল মুখার্জি আরও বলেন, ‘নিজের হার মেনে ঘরে বসে জনসংযোগের রাজনীতি করুন। বাজার গরম করার রাজনীতি করতে গেলে ফল বিপরীত হবেবে’।
  • Link to this news (আজকাল)