• Garden Reach: ৩৭৮ শূন্যপদ পূরণের দাবি পুর ইঞ্জিনিয়ারদের, মেয়র জানালেন নজরদারি ঠিকঠাক চলছে...
    আজকাল | ২৯ মার্চ ২০২৪
  • কৌশিক রায় : গার্ডেনরিচের বাড়ি ভাঙার ঘটনার তদন্ত চলছে। অবৈধ নির্মাণ রুখতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা। তবে বহুতল ভেঙে পড়ার পর প্রশ্ন উঠেছে খাস কলকাতায় পুরসভার কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও এত অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে কীভাবে? শুধু গার্ডেনরিচ নয়, টালিগঞ্জ এলাকায় একটি শপিং মলের কাছেও চোখে পড়েছে একই ধরনের অবৈধ নির্মাণ। ছোট্ট গলির মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে একের পর এক বহুতল। দুটো ফ্ল্যাটবাড়ির মাঝে একজনের ঢোকার জায়গা পর্যন্ত নেই। গার্ডেনরিচের ঘটনার পর আঙুল উঠেছিল কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের নজরদারির দিকে। খোদ মেয়র ভর্ৎসনা করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের। শো কজ করা হয়েছিল তিনজনকে। আর সেই প্রসঙ্গেই পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার্স ইউনিয়নের নেতা মানস সিনহা জানান, ‘গার্ডেনরিচ থেকে কাশীপুর, গোটা শহর জুড়েই বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ নির্মাণ চোখে পড়বে। কিন্তু আমাদের এক একজন ইঞ্জিনিয়ারের কাঁধে অনেকগুলো করে ওয়ার্ডের দায়িত্ব রয়েছে। ফলে, সবসময় নজর রাখা সম্ভব হচ্ছে না। লোকবল কম, বহু বছর ধরে আমাদের নিয়োগ হয়নি। এখনও ৩৭৮টা শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। একজন মানুষের পক্ষে বড় এলাকার দায়িত্ব নিয়ে কাজটা করা হয়তো সম্ভব, কিন্তু সেটা অনেকটাই সময়সাপেক্ষ’। শহরের কোথাও বেআইনি নির্মাণ অথবা বিপজ্জনক বাড়ি চোখে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে অভিযোগ জানাতে পারেন সেই ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু অনেকেই অভিযোগ জানাতে চান না রাজনৈতিক চাপের ভয়ে। ফলে, সেই খবর এসে পৌঁছয় না পুরকর্মীদের কাছে। মানসবাবু আরও বলেন, ‘গার্ডেনরিচের ঘটনা যথেষ্ট দুঃখজনক। এই যে ঠিকমত নজরদারি করা সম্ভব হচ্ছে না, তার আরও একটা বড় কারণ হল পরিকাঠামোর অভাব। পুরসভার উচিত শহরে যেখানে যেখানে বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে, সেই বাড়িগুলোকে পুনর্নির্মাণ করা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে ফেলে বাড়িগুলোকে সারাতে হবে। এভাবেই বাড়িগুলোকে ফের নিরাপদ করা সম্ভব’। অন্যদিকে, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই পর্যাপ্ত নজরদারি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘পুরকর্মীরা তো বটেই, আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বলেছি যে কোথাও যদি বেআইনি নির্মাণ চোখে পড়ে তাহলে অভিযোগ জানাতে। একটা এফআইআর করলেই পুরসভা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে’।
  • Link to this news (আজকাল)