আদালতে বিস্ফোরক আপ সুপ্রিমো, ফের ৪ দিনের ইডি হেফজত কেজরিওয়ালের!
২৪ ঘন্টা | ২৯ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আবগারি মামলায় আরও ৪ দিন বাড়ল কেজরিওয়ালের ইডি হেফাজত। ১৫ মার্চ গ্রেফতারির পর থেকে ইডির দিল্লি দফতরের লক আপেই আছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আরও ৪ দিন এই ইডি লক আপেই কাটবে কেজরিওয়ালের। কারণ কেজরিওয়ালের ইডি হেফাজতের মেয়াদ আরও ৪ দিন বাড়াল আদালত। এর পাশাপাশি এদিন দিল্লি হাইকোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরিওয়ালকে অপসারণের মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। আবগারি মামলায় কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিতে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। কিন্তু এদিন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনতেই অস্বীকার করেন। সাফ জানান, এটা বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এদিন আদালতে ইডির তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু বলেন, কেজরিওয়াল প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিচ্ছেন না। ডিজিটাল নথি নিরীক্ষণ করা বাকি রয়েছে। এখনও কয়েকজনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ বাকি। গোয়ার কয়েকজনকে সমন করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এখনও পর্যন্ত অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর মোবাইলের পাসওয়ার্ড দেননি। যদি উনি পাসওয়ার্ড না দেন তাহলে পাসওয়ার্ড ব্রেক করে মোবাইল খুলতে হবে। আরও এক সপ্তাহের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি।পালটা এদিন আদালতের সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তিনি বলেন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মামলার রুজু হয়। ইসিআইআর ফাইল হয়েছিল। এখন ২৫০০০ পাতার ফাইল জমা করেছে ইডি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার সঙ্গে অনেকেই দেখা করতে আসেন। অনেক কাগজ দিয়ে যান। অনেকে ফিসফিস করে কথা বলেন। কার কোন কথার ভিত্তিতে আমাকে গ্রেফতার করার ষড়যন্ত্র করেছে ইডি। যার বয়ানের ভিত্তিতে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি ৭ বার বয়ান দিয়েছেন। ৬ বার আমার নাম বলেননি। সপ্তমবার আমার নাম বলতেই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।এদিন আদালতে নিজের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বিস্ফোরক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর অভিযোগ, আবগারি দুর্নীতিতে যে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে তা আসলে ভুয়ো। আসল দুর্নীতি শুরু হয়েছে ইডি তদন্ত শুরু করার পর। দক্ষিণের সারদ রেড্ডি গ্রেফতার হওয়ার পর ৫০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে বিজেপিকে। এটাই আসল দুর্নীতি। আমাকে ফাঁসানোই ইডির মূল উদ্দেশ্য। তাই অভিযুক্ত যতক্ষণ না আমার বিরুদ্ধে বয়ান দিয়েছেন, ততক্ষণ তাঁর জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে বয়ান দিতেই জামিনের বিরোধিতা করা হল না। উলটে তাঁকে অভিযুক্ত থেকে রাজসাক্ষী করা হয়েছে।যার পালটা এসভি রাজু বলেন,উনি রাজনৈতিক বক্তব্য রাখছেন। ইডির কাছে কত পাতার নথি আছে উনি কিভাবে বলছেন। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, আম আদমি পার্টি হাওলার মাধ্যমে টাকা পেয়েছে। সেই টাকা গোয়ার নির্বাচনে খরচ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আইনের উর্ধ্বে নন। আর পাঁচজনের মতোই নাগরিক। কেজরিওয়াল যে নির্বাচনী বন্ডের চাঁদার কথা বলছেন, তার সঙ্গে আবগারি দুর্নীতির কোন সম্পর্ক নেই। কারণ আবগারি নীতি বিজেপি নয়, তৈরি করেছিল আম আদমি পার্টি। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ১০০ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছেন।