কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: ভোটের প্রচারে যাদবপুরে শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, 'সেকু আর মাকু দুই দলকে যাতে আমরা একেবারে শেষ করে দিতে পারে, তাই অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব'।
যাদবপুরে এবার পদ্ম-প্রতীকে লড়ছেন অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এদিন বিজয়গড়ে নির্বাচনী জনসভায় শুভেন্দু বলেন, 'একুশ সালে এই চোরদের সরকার আনার পেছনে সিপিআইএমের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল'। বিরোধী দলনেতার দাবি, 'সিপিএম সব সভাতে গিয়ে বলেছিল নো ভোট টু মোদী। কোনও সভায় বলেনি নো ভোট টু মমতা'।শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, 'আমরা বলি অত্যাচারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁর ভাইপোর থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে হলে নো ভোট টু মমতা। আমরা বলি কংগ্রেস পরীক্ষিত আর প্রত্যাখ্যাত। সিপিএমও একই। তৃণমূল পরীক্ষিত এবং প্রত্যাখ্যাত হবে। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম সবসময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটের জায়গায় লড়েন। আগে লড়েছেন রায়গঞ্জে, এবারও লড়ছেন মুর্শিদাবাদে। হাতে কাজ পেটে ভাত দেওয়ার রাজ্য দেবে বিজেপি'। এদিকে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। শুভেন্দু বলেন, 'দলিতকন্যা গরিব ঘরের মেয়ে রেখা পাত্রের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ছবি দিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে রাজ্য সরকার। ভাতাশ্রীকে বলব, ওটা সরকারের টাকা, তৃণমূলের নয়। একুশ হাজার মদের দোকান বেড়েছে। এই মুখ্যমন্ত্রী মদশ্রী'।তখনও লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। প্রথম দফায় বাংলার ২০ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু যেদিন নাম ঘোষণা হয়, তার পরেরই দিন বেঁকে বলেন আসানসোলের প্রার্থী, ভোজপুরী গায়ক-নায়ক পবন সিং। এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট দিয়ে পবন জানিয়ে দেন, 'কিছু কারণে আমি আসানসোল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব না'। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরও ১৯ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এখনও বাকি ৪ আসন।