PM Modi Economic Advisor : ‘সিগারেট-মদে ডুবে থাকে বাঙালি’, মোদীর উপদেষ্টার মন্তব্যে বিতর্ক, নিন্দা জহর সরকারের
এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
বাঙালিদের মধ্যে ‘নৈতিক দৈন্যতা’ রয়েছে। মদ, সিগারেটে মনোনিবেশ করে নিজেকে ‘আঁতেল’ ভাবে বাঙালি। রাজ্যের অবস্থার জন্য এখানকার সাধারণ মানুষই দায়ী। রাজ্যের বঙ্গ সমাজকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সঞ্জীব সান্যালকে। তাঁর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার।সিদ্ধার্থ আহলুওয়ালির 'দ্য নিওন শো' পডকাস্টে কলকাতা এবং বঙ্গ সমাজকে নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন সঞ্জীব স্যান্যাল। সেখানেই তিনি, বর্তমান বঙ্গ সমাজের দৈন্যতা নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি জানান, কলকাতার যে দুর্দশা হয়েছে তার জন্য দায়ী এখানকার সাধারণ মানুষ। কলকাতার একটা বিশাল অংশের মানুষ সিগারেট, মদ পান করে দিন অতিবাহিত করেন, কিন্তু দিনের শেষে সঠিক লক্ষমাত্রা পূরণে 'দৈন্যতা' লক্ষ্য করা যায়।
তাঁর কথায় উঠে আসে কলকাতা তথা রাজ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও। তাঁর কথায়, বর্তমান রাজ্যের দশার জন্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় দায়ী সাধারণ মানুষই। তাঁর কথায়, ‘সঠিক লক্ষ্যমাত্রার দৈন্যতার কারণে এই সরকার শাসন চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সেই নেতাকে পান, যে নেতাকে পাওয়ার যোগ্য তাঁরা। আপনি যদি লালুপ্রসাদ যাদবকে নির্বাচিত করেন, তাহলে কোনও ফলের আশা করবেন না।’ তাঁর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই ‘বাঙালি’ অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে আমি চিনি। সারা জীবন দিল্লি আর বিদেশেই থেকেছে। বাংলা অক্ষরও জানে না।’
মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আরও জানান, বঙ্গ সমাজের একাংশ মনে করেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া বা আড্ডার বুদ্ধিজীবী হওয়াটাই তাঁদের মূল লক্ষ্য। তাঁর কথায়, কোথাও বসে ধূমপান করা, মদের গ্লাসে চুমুক দেওয়াটা যদি আপনার লক্ষ্য হয় এবং নিজে কোনও কিছু না করে বাকি দুনিয়ার বিষয়ে জ্ঞান দিয়ে যাবেন, তাহলে তাঁদের কিছু আশা করাটা অনুচিৎ, কটাক্ষ তাঁর। গোটা বিষয়টি নিয়ে জহর সরকার বলেন, ‘এর মতন কিছু বিশ্বাসঘাতক বাঙালিরা বিজেপি আর মোদীর ব্যক্তিগত বঙ্গ বিরোধী বিষ আর আক্রোশকে উস্কে দিয়ে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে।’
যদিও, মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এই মন্তব্যে নেটিজেনরা দুইভাগ হয়েছেন। কেউ জানাচ্ছেন, ওই উপদেষ্টা বাস্তবসম্মত কথা বলছেন। মাঝেমধ্যে আমাদের আত্মসমালোচনা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আবার আরেকটা অংশ বলছেন, কিছু মানুষের স্বভাবের জন্য গোটা বঙ্গ সমাজকে সমালোচনা করাটা অনুচিৎ কাজ হবে।