Lok Sabha Election 2024 : ট্রেনিং নিয়েও চিঠি শো-কজ়ের, ক্ষোভ ভোটকর্মীদের মধ্যে
এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
এই সময়: ভোটের প্রশিক্ষণে সেন্টারে হাজির ভোটকর্মী। তা সত্ত্বেও শো-কজ়ের চিঠি। এমনকী ট্রেনিংয়ে ‘গরহাজির’ ওই সব ভোটকর্মীদের শাস্তি হিসেবে কমিশনের আধিকারিকরাই নির্দেশ দিচ্ছেন মপ আপ ট্রেনিংয়ে হাজির হওয়ার। উত্তরবঙ্গে প্রথম দফায় তিন কেন্দ্রে ১৯ এপ্রিল ভোটের কাজ নিযুক্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা কমিশনের সিদ্ধান্তে হতবাক।সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মন্তব্য, কমিশনের এই আধিকারিকদের দেশজুড়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ সুনিশ্চিত করার কথা। এখন তাঁরাই যদি এ রকম করেন, তা হলে সুষ্ঠু ভাবে ভোট হবে কেমন ভাবে? প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল, উত্তরবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ।
আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার। আলিপুরদুয়ার শহরের একটি স্কুলে ২৪ মার্চ ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ ছিল। সেই ট্রেনিং সেন্টারে নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কুমারগ্রাম দুয়ার ইস্ট সার্কেলের নিউ ল্যান্ডস টি-গার্ডেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক কৌশিক দে। তিনি বলেন, ‘ট্রেনিং নেওয়ার পরও আমাকে শো-কজ় করা হয়েছে। শাস্তি হিসেবে এমসি উইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে ২৯ মার্চ রুম নং সিক্সে সকাল ১০টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত মপ আপ ট্রেনিংয়ে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’
তবে তিনি একা নন। ২৪ মার্চ যে সব ভোটকর্মীদের ট্রেনিং ছিল, তাঁদের উপস্থিতির সইও রয়েছে কমিশনের হাজিরা খাতায়। একই অভিজ্ঞতা আলিপুরদুয়ার ওয়েস্ট সার্কেলের শালকুমার হাই অ্যাটাচড প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক মনোজকুমার সূত্রধরের। তিনি বলেন, ‘সার্কেল ইনস্পেক্টর আমায় বুধবার ফোনে শো-কজ়ের চিঠি নিয়ে যাওয়ার কথা জানান। আমি আগেই হাজিরা খাতার ছবি তুলে রেখেছিলাম মোবাইলে। আজ, শুক্রবার ছুটি থাকা সত্ত্বেও মপ আপ ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে জবাব দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।’
ফলে কুমারগ্রাম, ফালাকাটা এবং মাদারিহাটের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা বেশ সমস্যায়। কমিশনের এক কর্তা জানান, এটা টেকনিক্যাল মিসটেক। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চর সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীর প্রশ্ন, অযথা ভোট কর্মীদের এ ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে কেন? আসন্ন লোকসভা ভোট নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত অব্যবস্থা ও কমিশনের এক শ্রেণির আধিকারিকদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকাও দেখা যাচ্ছে।