৩ হাজার কোটি ফেরতের ইচ্ছাপ্রকাশ মোদীর, জানেন কি ED-র উদ্ধার করা টাকা কোথায় যায়?
এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
সম্প্রতি কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই টেলিফোনিক কথাবার্তায় বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি রাজ্যে ইডির অ্যাটাচ করা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা তিনি গরিব মানুষদের ফিরিয়ে দিতে চান বলে ইচ্ছাপ্রকাশ করতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। আর প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের পরেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য রাজনীতিতে। এই বক্তব্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। কিন্ত এটা কখনও ভেবে দেখেছেন কি, ইডি বাজেয়াপ্ত করা টাকা যায় কোথায়? কোথায় বা কী ভাবে রাখা হয় সেই টাকা?এক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী -সবচেয়ে প্রথমে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি ও নথির একটি সিজার লিস্ট তৈরি করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।এরপর কোন নোটে কত টাকা বা কতগুলি বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে তা নথিভুক্ত হয়। সঙ্গে নোটগুলি ভালোভাবে পরীক্ষা করেও দেখা হয়।এরপর ব্যাঙ্কের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলেও উদ্ধার হওয়া টাকা সেখানে জমা করা হয়।পরে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে আদালতের অনুমতি নিতে হয়, এবং সেই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ইডি-র এসপি পদমর্যাদা অফিসারের নামে করা হয়। এক্ষেত্রে কারেন্ট অ্যাকাউন্টের টাকা বাজারে খাটাতে পারে ব্যাঙ্ক।অন্যদিকে মোড়া বা খামবন্দি অবস্থায় টাকা পাওয়া গেলে তা রাখা হয় মালখানায়। পাশাপাশি কত টাকা, কী অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে সেটিও জানাতে হয় আদালতকে। বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য সমস্ত নথির সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে মালখানায় রাখা হয় ওই খামবন্দি টাকা। এক্ষেত্রে আদালতে প্রমাণ হিসেবে পেশ করার কোনও নথি থাকলে তা ইডি নিজের হেফাজতে রাখে।উল্লেখ্য, পিএমএল আইনের ধারা অনুযায়ী, সম্পত্তি অ্যাটাচ করার অধিকার রয়েছে এনফোর্সটমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে। কিন্তু সেক্ষেত্রে ১৮০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রমাণ করতে হয় যে ওই সম্পত্তি অবৈধ। আর যদি বাজেয়াপ্ত করা টাকা অবৈধ বলে প্রমাণিত না হয়, তাহলে তা সুদসহ ফেরত দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। অপরদিকে টাকা অবৈধ বলে প্রমাণিত হলে, তা জমা পড়ে সরকারি কোষাগারে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্টচ ডিরেক্টরেট। অনেক ক্ষেত্রে বান্ডিল বান্ডিল টাকাও উদ্ধার করেছে ইডি। প্রতিবারেই সেই সমস্ত ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর এবার ইডির অ্যাটাচ করা টাকাই প্রধানমন্ত্রী মানুষকে ফেরত দিতে চাওয়ায় নতুন করে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।