'স্লিপ অফ টাং', অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যাকে নিয়ে মন্তব্যে সাফাই বিজেপি নেতার
এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। আর এবার প্রকাশ্য সভায় দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেই 'হারানো'র চ্যালেঞ্জ বিজেপি নেতার! তমলুকের বিজেপি সম্পাদক চন্দন মণ্ডলের বক্তব্যকে ঘিরে ব্যাপক হইচই পড়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। এমনকী চন্দন মণ্ডলের বক্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপিংও শেয়ার করেছেন তিনি। যদিও সেই ক্লিপিংয়ের সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।কুণাল ঘোষের পোস্ট করা ভিডিয়ো ক্লিপিংয়ে চন্দন মণ্ডলকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'আমদের লক্ষ্য হচ্ছে এই পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে হঠাতে হবে, এবং ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আমরা ২ লাখেরও বেশি ভোটে হারাব, হারাব, হারাব। এটা শপথ করছি আমরা।' ওই ক্লিপিংয়ে পরে অবশ্য নিজেকে সংশোধন করে নিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ২ লাখেরও বেশি ভোটে জেতাব, আমরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি।' চন্দনের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কুণালের কটাক্ষ, 'নাও, ঠেলা বোঝো...অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে দুটলাখ ভোটে হারানোর ডাক। ইনি চন্দন মন্ডল, তমলুকে বিজেপির সম্পাদক। আগেই বলেছিলাম গদ্দারপন্থীরা অভিজিতবাবুকে হারানোর খেলা খেলবে। সেটাই মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে।'
যদিও যাঁর বক্তব্যকে ঘিরে এত আলোচনা সেই চন্দন মণ্ডল এই সময় ডিজিটালকে বলেন, 'এটা স্লিপ অফ টাং, এটা ভুলবশত। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখানে ২ লাখ ভোটে জিতবেন, এটা আমাদের বিশ্বাস। মানুষের হৃদয় তিনি জয় করেছেন, আমরা খুশি। এটা নিয়ে বিভ্রান্তির কোনও বিষয় নেই, তৃণমূলই নানাভাবে ট্রোল করার চেষ্টা করছে।'
ঘটনায় বিজেপি নেতা বামদেব গুছাইত বলেন, 'আমাদের নেতা বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়য়ে দেবাংশু ভট্টাচার্যের পরিবর্তে ভুলবশত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম করেছেন। পরে তিনি ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন। এটা অনভিপ্রেত, স্লিপ অফ টাং। এটা নিয়ে কুণাল ঘোষের হইচই করার কিছু নেই, তিনি নিজের দলকে দেখুন।'
যদিও বিজেপির তরফে 'স্লিপ অফ টাং' বললেও কটাক্ষ করতে কিন্তু ছাড়ছে না তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা অসীত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এটা ওদের অন্তর্দ্বন্দ্ব। যাঁরা বিজেপি করতেন, তাঁরা এখন বিজেপিতে নেই। সিপিএম-এর হার্মাদগুলো এখন বিজেপিতে। এটা অটল বিহারী বাজপেয়ীদের বিজেপি নয়, এটা লুঠেরাদের বিজেপি।'