এই সময়: ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিষ্ণুপুর ও সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে ওই দুই বিধানসভায় জোড়াফুলের লিড আরও বাড়ানোর বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমতলায় বৃহস্পতিবার এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে অভিষেক দু’দফায় বৈঠক করেন।২০১৯-এর লোকসভা এবং ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই কেন্দ্রে তৃণমূলের ভালো ফলই হয়েছিল। সেই সাফল্য ধরে রেখে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মার্জিন আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক। আজ, শুক্রবার মহেশতলা, বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভার ভোট-প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার থেকে দফায় দফায় কর্মী-বৈঠক করছেন অভিষেক। এ দিনের বৈঠকেও অভিষেক লোকসভা এলাকায় যে উন্নয়নের কাজ হয়েছে, তা নিয়ে নিবিড় প্রচারের পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সার্বিক উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি অভিষেকের এমপি-ল্যাডের টাকাতেও বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়িত হয়েছে। সেই সব উন্নয়ন-কাজ নিয়ে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষের চাহিদা-পূরণ হলে তৃণমূলেরও লক্ষ্যপূরণ হবে বলে অভিষেক বৈঠকে মন্তব্য করেছেন। প্রসঙ্গত, অভিষেক চার লক্ষ ভোটের ব্যবধানে ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের জয়ের টার্গেট ঠিক করেছেন আগেই। এই কেন্দ্রে সিপিএম না আইএসএফ--কারা প্রার্থী দেবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। বাম ও আইএসএফ-এর মধ্যে শেষ পর্যন্ত যদি কোনও সমঝোতা না হয় তা হলে এই কেন্দ্রে সিপিএম ছাত্রনেতা প্রতিকউর রহমানকে প্রার্থী করতে পারে।
আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি এ দিন মথুরাপুরে প্রচারে গিয়ে বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবার নিয়ে আমাদের দলে একাধিক মতামত রয়েছে। রাজ্য কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের দলের দ্বিতীয় প্রার্থী-তালিকা প্রকাশিত হলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। দলের নেতৃত্ব নির্দেশ দিলে আমি লড়াই করব।’ এরই মধ্যে বামফ্রন্ট আজ, শুক্রবার চতুর্থ দফার প্রার্থী-তালিকা ঘোষণা করতে পারে। বাম-আইএসএফ সমঝোতা ভেস্তে গেলে সিপিএম এ দিনই ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী ঘোষণা করে দিতে পারে। বিজেপির তরফেও অবশ্য এই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি এখনও।