• টিকিট দেয়নি বিজেপি, পিলভিটকে খোলা চিঠিতে আবেগঘন বার্তা বরুণের
    বর্তমান | ২৯ মার্চ ২০২৪
  • নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটে পিলভিট থেকে জিতিন প্রসাদকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এবার আর তাঁকে টিকিট দেয়নি দল।   স্বাভাবিকভাবেই ‘মন খারাপ’ বিদায়ী সাংসদ বরুণ গান্ধীর। তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে সময়কাল শেষ হওয়ার আগেই পিলভিটের ভোটেরদের আবেগঘন চিঠি লিখলেন গান্ধী পরিবারের এই সদস্য। বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, পিলভিটের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়ে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন। স্থানীয়দের ভাবনাচিন্তা, সারল্য ও মমতা তাঁর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বরুণ আরও লিখেছেন, সাংসদ না থাকলেও আপনাদের ছেলে হয়েই সারাজীবন সেবা করে যাব। আগের মতোই আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরার জন্যই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলাম। যে কোনও মূল্যে এই কাজ করে যেতে আপনাদের আশীর্বাদ চাইছি। 

    পিলভিট থেকে দু’বার নির্বাচিত হয়েছেন বরুণ। কিন্তু, এখানকার সঙ্গে তাঁর পরিবারের ৩৫ বছরের সম্পর্ক। ১৯৮৯ সালে জনতা দলের টিকিটে প্রথমবার এই কেন্দ্রে জয় পান তাঁর মা মানেকা গান্ধী। ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত নির্দল হিসেবে এই কেন্দ্রে জিতেছিলেন তিনি। এরপর বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তাঁর জয়ের ধারা অব্যাহত ছিল ২০১৪ সালেও। অন্যদিকে, ২০০৯ ও ২০১৯ সালে এই আসন থেকে সাংসদ হয়েছিলেন বরুণ। এবার মানেকা বিজেপির টিকিট পেলেও বাদ পড়েছেন বরুণ।তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, বিগত কয়েক বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। দল ও কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে বারবার মুখ খুলেছেন তিনি। 

    কুনোতে জাতীয় উদ্যানে একের পর এক চিতার মৃত্যুর জন্যও মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বরুণ। টিকিট না পাওয়ার তাঁর দলত্যাগের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। বরুণকে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। তবে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বিজেপি এমপি কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। 
  • Link to this news (বর্তমান)