খেলোয়াড়রা বরাবর স্বীকার করেন যে, ব্যর্থতা থেকে শেখার চেষ্টা করেন সকলেই। তবে ব্যর্থ হওয়ার ভয় নিয়ে খেলতে নামলে যে সফল হওয়া যায় না, সেটা উপলব্ধি করেছেন আন্দ্রে রাসেল। গত মরশুমের সেই নেতিবাচকতা ঝেড়ে ফেলেই এবার আইপিএলের শুরুতে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন দ্রে রাস।
ইডেন গার্ডেন্সে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৪-এ কেকেআরের প্রথম ম্যাচের নায়ক হন রাসেল। তিনি বল হাতে একজোড়া উইকেট নেওয়ার আগে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালান। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ৬৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রাসেল। তাঁর ২০ বলে করা হাফ-সেঞ্চুরি এবারের আইপিএলে প্রতিপক্ষ দলগুলির জন্য চরম হুঁশিয়ারি সন্দেহ নেই।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে বারবর ব্যাটে-বলে সফল হন রাসেল। বিশেষ করে আগ্রাসী মেজাজের জন্য় প্রতিপক্ষ বোলারদের ত্রাস হিসেবে বিবেচিত তিনি। তবে গত মরশুমে দ্রে রাসকে তাঁর ছায়া বলে মনে হয়। তিনি সুনাম অনুযায়ী নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। রাসেল ২০২৩ আইপিএলের ১৪ ম্যাচে মাঠে নেমে ২২৭ রান ও ৭টি উইকেট সংগ্রহ করেন। তবে এবছর ক্যারিবিয়ান তারকা শুরুতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিপক্ষ বোলারদের পালিয়ে বাঁচার পথ নেই।
এক বছরের ব্যবধানে ফের রুদ্ররূপে ফেরা প্রসঙ্গে রাসেল বলেন, ‘(গতবছর) আমার মাইন্ডসেট যথাযথ ছিল না। কীভাবে মাঠে নেমে নিজের সেরাটা দিতে পারি সেই বিষয়ে না ভেবে ব্যর্থতার ভয় বেশি করে কাবু করেছিল আমাকে। যদি মাঠে নেমে কেউ ভাবে যে আমি আউট হবো না, তবে আমার মতে সেটা নেতিবাচক মনোভাব।’
রাসেল আরও যোগ করেন, ‘গতবছর আমি নিজেই নিজেকে চাপে ফেলেছিলাম। কারণ বড্ড বেশি ভাবছিলাম। ক্রিকেটে যথার্থ মাইন্ডসেটের প্রয়োজন। এখন প্রতিটি বলের কীভাবে মোকাবিলা করব, আমার মনোভাব একেবারে স্বচ্ছ।’
চিন্নাস্বামীর বাইশগজে বিস্তর রানের হদিশ থাকে বলেই সব ব্যাটাররা এখানে ব্যাট করতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে দ্রে রাসের মতো আগ্রাসী মেজাজের ব্যাটাররা এই মাঠে নিজের খেলা উপভোগ করেন একটু বেশিই। যদিও রাসেল চান যে, আরসিবির বিরুদ্ধে শুক্রবারের ম্যাচে যেন তাঁকে ব্যাট করতে না হয়।
দ্রে রাস ভয় পাচ্ছেন, এমনটা মোটেও নয়। আসলে রাসেল চান তাঁর টপ অর্ডারের সতীর্থরাই যেন ২০ ওভার খেলে দেয়। তাহলেই দল ভালো জায়গায় থাকবে। অবশ্য রাসেল এও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন যে, যদি শেষের দিকে ৫-৬টি বল খেলতে হয়, তবে ফের বড় বড় শট নেওয়ার চেষ্টা করবেন।