Calcutta High Court News : আইন তিনি ভালো জানেন! লাইসেন্স কাড়লেন সার্জেন্ট
এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
দীর্ঘদিন কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতির কাছে তিনি ডিউটি করেছেন। তাই, আইনের অনেক কিছু তাঁর জানা, এমনটা দাবি করে এক ট্র্যাফিক সার্জেন্ট ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবীর ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে নেন। ওই আইনজীবী মামলা করেন হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। ওই সার্জেন্টকে নিজের বক্তব্য জানানোর জন্য বিচারপতি তাঁকে ২ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ বিদ্যাসাগর সেতুর উপর ট্র্যাফিক আইন না-মানার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী শুভ্রাংশু পাণ্ডার গাড়ি আটকান কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের বিদ্যাসাগর সেতু ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট পলাশ হালদার। অভিযোগ, আইনজীবীর কাছ থেকে প্রথমে হাজার টাকা দাবি করেন ওই পুলিশকর্মী। টাকা না-দেওয়ায় আইনজীবীর ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে নিয়ে সার্জেন্ট তা বাতিল করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন, এমনটা অভিযোগ।
মামলায় ওই আইনজীবীর অভিযোগ, ওই সার্জেন্ট এর আগে আর এক জনের কাছ থেকে একই কারণে ৫০০ টাকা ঘুষ নেন। ট্র্যাফিক আইন ভাঙলেও কারও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়া যায় না, আইনের এমন সংস্থানের কথা আইনজীবী জানালে ওই ট্র্যাফিক সার্জেন্ট হাইকোর্টেরই এক বিচারপতির নাম করে দাবি করেন, তিনি দীর্ঘদিন ওই বিচারপতির ডিউটি করেছেন, তাই আইন তিনি ভালোই জানেন।
ট্রাফিক সার্জেন্ট হয়ে আইন কী ভাবে জানেন? তার একটা অদ্ভুত যুক্তি দেখান ওই সার্জেন্ট। তিনি দাবি করেন, তিনি হাইকোর্টের এক বিচারপতির কাছে ডিউটি করতেন। সেখানেই আইনের বিষয়ে অনেক কিছু জেনে নিয়েছেন। আইনের দোহাই দিয়ে কেড়ে নেওয়া হয় ওই আইনজীবীর লাইসেন্স। তবে আইনজীবী পালটা দাবি করেছিলেন, এভাবে লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া যায় না। দুই তরফে দীর্ঘক্ষণ বচসা চলে।
তর্কের মাঝেই দীপঙ্কর দত্ত বনাম রাজ্য সরকারের মামলার রায় ওই ট্রাফিক কর্মীকে দেখানো হয়। সেটা ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট মানতে চাননি। তখনই তিনি হাইকোর্টের এক বিচারপতির নাম উল্লেখ করে দাবি করেন, তিনি নিজেই অনেক আইন জানেন। ক্ষমতাবলে তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে নিতে পারেন, এমনকি ভবিষ্যতে তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করে দিতে পারেন বলেও জানান ওই সার্জেন্ট।