• জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় বিপর্যস্ত দক্ষিণ কোরিয়া, সন্তান হলেই মিলবে ৭৫ হাজার ডলার পুরস্কার
    এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
  • ক্রমেই জনসংখ্যা কমছে দক্ষিণ কোরিয়ার। আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসনের তরফে। তাই দেশের জনসংখ্যা বাড়াতে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা নেওয়ার কথা ভাবছে সে দেশের সরকার। দেশের এই অত্যন্ত কম জন্মহারের উন্নতির জন্য এগিয়ে এসেছে একটি সংস্থা। সিওলে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার একটি নামী নির্মাণ সংস্থা বুয়ং গ্রুপ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে ওই সংস্থায় কর্মরত যে কোনও কর্মী সন্তান জন্ম দিলে পবেন ১০০ মিলয়ন কোরিয়ান ওয়ান। ভারতীয় মু্দ্রায় যার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। যদি কোনও কর্মী একাধিক সন্তানের জন্ম দেন তাহলে প্রতিবারই তিনি ওই সমপরিমাণ টাকা সংস্থার কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাবেন। দেশের জন্মহার বাড়াতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে।

    ওই সংস্থার ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছেযে ২০২১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ওই সংস্থার কর্মীদের সন্তানের সংখ্যা একত্রে ৭০ হলে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৩ কোটি টাকা সমান ভাগে বিলিয়ে দেওয়া হবে।

    কেন কমছে জন্মের হার?দক্ষিণ কোরিয়ার প্রজনন হার বিশ্বের সর্বনিম্ন। কারণ বেশিরভাগ মহিলা তদের কেরিয়ার নিয়ে বেশি ব্যস্ত। একইসঙ্গে সন্তান পালনের আর্থিক ব্যয় নিয়েও চিন্তিত। আর সেই কারণেই সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। একটি সার্ভেতে দেখা গেছে যে আগামী কয়েক বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার রেকর্ড হারে নেমে যেতে পারে যা জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যাবে।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার চোখে পড়ার মতো কমে গেছে। এই মুহুর্তে দেশটির জন্মহার মাত্র ০.৭৮ শতাংশ। বিশ্বের আর কোনও দেশের জন্মহার এত কম নয়। এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার ০.৬৫ শতাংশে পৌঁছে যাবে। দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহর কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ অর্থনীতি। দেশের জনগন সঞ্চয়ী হয়ে উঠেছে। ফলে সন্তান পালনের দায়িত্ব কেউ নিতে চাইছে ন। সেই কারণেই জনসংখ্যা কমছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

    বর্তমানে চীনের অর্থনীতিতেও একই রকমের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জন্মহার কমেছে চীনেও। সেখানে জনগনের মধ্যে বিয়ে করে সংসার করার প্রবণতাই অনেক কমে গেছে। অনেকে আবার সন্তানের জন্মও দিতে চাইছেন না। এই নিয়ে সেদেশের সরকারের তরফেও জনগনকে নানাভাবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)