বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজের দুর্ঘটনার গল্প লেন্সে বন্দী হয় টাইটানিক নামে। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি টাইটানিক ঝড় তোলে। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেটের অসাধারণ অভিনয় ছবিটিকে একটি অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। হলিউডের এি ছবিটি ব্লকবাস্টার প্রমাণিত হয়। অস্কারের সবকটি বিভাগে নমিনেটেড হয় এবং ১১টি অস্কার পায় এই ছবি।লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেট, পর্দায় এই দুই তারকার রসায়ন ছুঁয়ে যায় কোটি কোটি দর্শকের মন। এখনও দর্শকদের মনে ঝড় তোলে রোজ-জ্যাকের ভালোবাসার সম্পর্ক এবং সিনেমার বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। বিশেষত বার বার মনে পড়ে সিনেমার শেষের দৃশ্যটি। অতোবড় জাহাজ জলে ডুবে যাওয়ার পর নায়িকা রোজকে জাহাজের একটি ভাঙা দরজার ওপর রেখে নিজে ঠান্ডা বরফ জমা জলে জ্যাকের ভেসে থাকার সেই মুহূর্তটি।
সিনেমার সেই রোজের প্রাণ বাঁচানো দরজা এবার উঠলো নিলামে। প্রায় ছয় কোটি কটায় বিক্রি হয়েছে দরজাটি। নিলামে সিনেমায় ব্যবহৃত আরও বেশ কিছু ঐতিহাসিক সরঞ্জামও বিক্রি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে টাইটানিকের সেই ঐতিহাসিক দরজাটি। কারণ এই দরজাটি নিয়ে সিনেমার পরেও অনেক প্রশ্ন ছিল। শুনতে মজা লাগলেও জ্যাক ভক্তরা টাইটানিক ছবির নির্মাতা জেমস ক্যামেরনকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন জ্যাককে ওই দরজায় তোলা হয়নি? কেন সিনেমার শেষে তাকে বাঁচানো হল না? যদিও এই সব প্রশ্নের উত্তরও দেন ছবির পরিচালক।
প্রসঙ্গত, ১৯১২ সালে ডবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল টাইটানিক সিনেমাটি। আটলান্টিক সাগরে ডুবে যাওয়া সেই টাইটানিকে দেড় হাজারের বেশি যাত্রী এবং ক্রু তাঁদের প্রাণ হারিয়েছিলেন।
সিনেমায় এটিকে দেখে দরজা মনে হলেও আসলে এটি একটি কাঠের প্যানেল ছিল। হেরিটেজ অকশন ট্রেজারস বলেছে যে এটি আসলে একটি জাহাজের লাউঞ্জের প্রবেশদ্বারের গেটের উপরের একটি ফ্রেমের অংশ। সিনেমার শেষ দৃশ্যে কেট উইন্সলেট অর্থাৎ রোজের পরা পোশাকও নিলামে তোলা হয়। রোজের পরিহিত শিফন ড্রেসটিও নিলামে ওঠে এবং প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি দামে বিক্রি হয়। তবে নিলামে অংশগ্রহণ করে যাঁরা এসব কিনেছেন তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সবশেষে একটা কথা বলাই যায় যে, সিনেমাটি তৈরির এতো বছর পরও মানুষের মনে আজও একই রকম রয়েছে টাইটানিকের স্মৃতি।