Narendra Modi : টাকা ফেরানোর কথা বলে বিধি ভাঙেন নমো, নালিশ
এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
এই সময়: বাংলায় দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডি যে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে, তা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপাকে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোটের আগে টাকা ফেরানোর কথা বলে তিনি নির্বাচনী বিধি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে লিখিত কমপ্লেন্ট করেছে জোড়াফুল শিবির। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় এবং মালদা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর বিরুদ্ধেও বিধিভঙ্গের অভিযোগে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল।কুশল বিনিময়ের জন্য বুধবার সকালে অমৃতাকে টেলিফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কথোপকথনে বাংলায় দুর্নীতির প্রসঙ্গ তোলেন রাজমাতা অমৃতা। বাংলার স্কুলে ছাত্রভর্তি থেকে শুরু করে সরকারি চাকরিতে নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান রাজমাতা। তাঁর কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী জানান, ইডি-র আধিকারিকরা বাংলা থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন।
এই টাকা গরিব মানুষের। গরিব মানুষকেই তা ফিরিয়ে দেওয়ার দেওয়ার জন্য আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছিলেন মোদী। এ জন্য কোনও না কোনও রাস্তা খুঁজে বের করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। সেই অডিয়ো-বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
প্রধানমন্ত্রী আদর্শ আচরণ বিধি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের ব্যাখ্যা, ‘মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে ইডি যাঁদের টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে। বিচারাধীন অবস্থায় কোনও মতেই এই টাকা বিলি করা সম্ভব নয়।’ একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মেনে যে ভাবে ১৫ লক্ষ টাকা সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে, সে ভাবেই হয়তো এই টাকা বিলি করা হবে!’
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে অবশ্য মনে করছে না বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভোটের প্রচার করছেন। ভোটের বক্তৃতায় তিনি যে কোনও প্রতিশ্রুতি দিতেই পারেন। তা না হলে তো নির্বাচনী ইস্তাহার বন্ধ করে দিতে হয়। আসলে ভোটে হারার ভয় থেকে তৃণমূল এই সব অবান্তর কথাবার্তা বলছে।’
অন্ধ্রপ্রদেশে ভোট প্রচারে যাওয়ার জন্য বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ব্যবহারের জন্যও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্বাচন কমিশনে।
আবার, মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু দিন কয়েক আগে অভিযোগ করেছিলেন, মালদার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের দাবি, খগেনের অভিযোগ পুরোপুরি অসত্য। এমন অভিযোগ তোলা আদর্শ আচরণ বিধির বিরোধী। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।