BJP-তে ফিরেই মুকুলের দুয়ারে! রাজনৈতিক 'চাণক্য'-র থেকে কী পরামর্শ নিলেন 'সারথী' অর্জুন?
এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম শিবিরের হয়ে সমর কৌশল সাজানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন মুকুল রায়। এরপর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমূল বদল এসেছে। ২০২৪ সালে যখন ভোটের ডঙ্কা বেজে গিয়েছে সেই সময় রাজনীতির ফ্লোর থেকে গায়েব এই দাপুটে রাজনীতিক। মাঝে মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরেছিলেন, আবার কিছু সময় দিল্লিতে গিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন। তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় দীর্ঘ সময় দাবি করেছেন, বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই।কিন্তু, শুক্রের দুপুরে ফের একবার বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চায় মুকুল রায়। তাঁর বাড়িতে যান ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি, জানা গিয়েছে এমনটাই। মুকুল এবং অর্জুনের এই সাক্ষাৎকার বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন মুকুল রায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে অর্জুন সিং জানান, 'ওঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলাম। তিনি আমাকে উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন।'
উল্লেখযোগ্যভাবে, তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ার পর অর্জুন সিংয়ের কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল মুকুল রায়ের নাম। তিনি বলেছিলেন, 'ইতিহাস দেখলেই বোঝা যাবে যাঁরা বিজেপি থেকে তৃণমূলে গিয়েছিলেন তাঁদের আমাদের মতো অবস্থা হবে। মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।'
এবার মুকুলের বাড়িতেই হাজির হলেন অর্জুন। উল্লেখ্য, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এবং বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর অর্জুন সিংকে কটাক্ষ করা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তিনি বলেছিলেন, 'একজন ২০১৯ সালে কংগ্রেসে ছিলেন, অন্যজন বিজেপিতে। আমি সেই সময়ও তৃণমূলে। যাঁরা ২০১৯ সাল নিয়ে এত কথা বলছেন তাঁরা বুথ কর্মীদের চেনেনই না!' অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে 'মতের মিল নেই' বলেও তাঁর মন্তব্য ছিল ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ 'ভালো সংগঠক'।
এদিকে অর্জুনের BJP-তে প্রত্যাবর্তন এবং প্রার্থী হওয়ার পর মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে মুকুল এবং অর্জুনের সম্পর্ক সমীকরণ কারও অজানা নয়। মুকুল রায় যখন তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তখনও বিজেপিতে অর্জুন। সেই সময় তিনি এই নেতাকে তোপ দেগে বলেছিলেন, 'মুকুল রায় বরাবর স্বার্থের পলিটিক্স করে এসেছেন। বিজেপি ক্ষমতায় এল না বলে চলে গেলেন। ওঁকে কেউ চিনুক না চিনুক আমি চিনি।'
এখানেই শেষ নয়, এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অর্জুন সিং বলেছিলেন, ‘আমি চানক্যের সমস্ত নীতি পড়েছি। কোন নীতি ওঁর সঙ্গে মিল খায় আমি জানি না।’ তবে রাজনীতিতে নাকি কোনও কিছুই ‘স্থির নয়’। সেক্ষেত্রে মুকুল এবং অর্জুন সাক্ষাৎকার কি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়া মোড়? উঠছে প্রশ্ন।