১৪ দিন পর চালু বাউড়িয়া-বজবজ ফেরি পরিষেবা, স্বস্তিতে নিত্যযাত্রীরা
এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
গত ১৪ মার্চ বানের জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছিল বাউড়িয়া জেটি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বাউড়িয়া বজবজ ফেরি পরিষেবা। সমস্যায় পড়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা। অবশেষে ১৪ দিনের মাথায় শুক্রবার থেকে পুনরায় এই পথে ফেরি চলাচল শুরু হল। হুগলি নদীর এই পথে হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী এই ফেরি সার্ভিসের উপর নির্ভরশীল বহু মানুষ।বিশেষ করে নদীর দুইপাড়ে একাধিক কারখানা থাকায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই পথে যাতায়াত করেন। হুগলি নদীর জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির ডিরেক্টর অজয় দে জানান, জলের তোড়ে বাউড়িয়া জেটি ভেঙে যাওয়ার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জেটিঘাট ও গ্যাংওয়ে সংস্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলক ভাবে এই পথে লঞ্চ চালানোর পর শুক্রবার সকাল ৬ টা ১৫ থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। আপাতত দুটি লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, দু'সপ্তাহ আগে এই জেটি ঘাট ভেঙে পড়ার খবর পাওয়ার পর রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় পরিবহণ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঘটনার দিন রাতেই বাউড়িয়ায় আসেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সমস্ত খোঁজখবর নেন তিনি। মন্ত্রী জেটিঘাট সংস্কারের জন্য তিরিশ লাখ টাকা বরাদ্দ করেন বলে জানা যায়। আর তারপরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জেটি মেরামত করা হয়।
অন্যদিকে, ১৪ দিন পর পুনরায় লঞ্চ পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, জেটি ভেঙে যাওয়ায় অনেক ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। ফলে অফিস পৌঁছতে দীর্ঘ সময় লাগছিল। অনেক ক্ষেত্রে বেশি পড়ছিল খরচও বলে দাবি তাঁদের।
অপর এক নিত্যযাত্রীর কথায়, ‘আমাদের যাতাযাতের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় ভরসা এই জেটিঘাট। তা অচল হয়ে যাওয়ায় বহু মানুষ বিপাকে পড়েছিলেন। যত দ্রুত তা সচল হয়ে যায় সেই জন্য আমাদের তরফে প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছিল আবেদন। পরিবহণমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসন যে যুদ্ধকালীন তৎপপরতায় কাজ করেছে এবং এই জেটি পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আমরা খুশি।’
অন্যদিকে, ১৪ দিন পর পুনরায় লঞ্চ পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, জেটি ভেঙে যাওয়ায় অনেক ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। সমস্যায় ভুগতে হচ্ছিল। এবার সেই সমস্যা মিটল।