এই সময়: কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে টেলিফোন-কথোপকথনে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইডি-র ‘অ্যাটাচ’ করা টাকার যে অঙ্ক উল্লেখ করেছেন, তাতে বিস্মিত বাংলার স্কুলে শিক্ষক কিংবা ক্লার্ক পদে নিয়োগে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই। তাঁদের ধন্দ এই নিয়ে যে, প্রধানমন্ত্রী যত টাকার কথা বলেছেন, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে (যদি তার সঙ্গে পুর নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তও যুক্ত হয়) ইডি এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে সেই তিন হাজার কোটি টাকা অ্যাটাচ করার দাবি কোনও আদালতে আদৌ জানিয়েছে কি না।বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, বাংলায় বিভিন্ন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত সূত্রে ইডি মোট কত টাকা অ্যাটাচ করেছে, সেটা ইডি-র বিশেষ আদালত বা হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টে জানানো ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য থেকে পরিষ্কার নয়। বঞ্চিত প্রার্থীদের বক্তব্য, বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে টাকা বাজেয়াপ্ত করার যে সব দাবি ইডি করেছে, সেটা সব মিলিয়ে বড়জোর কয়েকশো কোটি টাকা হওয়ার কথা।
বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার তদন্ত এখনও শেষ করে উঠতে পারেনি ইডি-সিবিআই। দায়রা আদালতে কোনও ফাইনাল চার্জশিট পেশ হয়নি। বিচার শুরু হওয়ার তো প্রশ্নই নই। ফলে, টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি এখনও আদালতে প্রমাণিতই নয়। যদি সেটা প্রমাণ হয়, তা হলে কাকে কী ভাবে টাকা ফেরানোর কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী— সেই প্রশ্ন তুলেছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।
২০১৪-র প্রাইমারি টেট পাশ নট ইনক্লুডেড একতা মঞ্চর অচিন্ত্য সামন্ত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তার সারমর্ম, যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি গেলে সেই ঘুষের টাকা আবার ফেরতও পাবেন। এতে তো দুর্নীতিকেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে।’ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আরও বক্তব্য, তদন্ত সূত্রে কোনও টাকা বা সম্পত্তি কোনও এজেন্সি অ্যাটাচ করলে সেই হিসেব পেশ করার কথা আদালতে। একমাত্র আদালতই সেই অর্থ বা সম্পত্তির কী পরিণতি হবে, তা নির্ধারণ করতে পারে।