ঘটনাটি ঠিক কী? আগে থেকে সময় নেওয়া ছিল না। আজ, শুক্রবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে হাজির হয় তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বাকিরা দাঁড়িয়েছিলেন বাইরে। শশী পাঁজা একাই ভিতরে গিয়ে রিসেপশনে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।বাইরে বেরিয়ে শশী বলেন, 'বিজেপির বিরুদ্ধে যে দলগুলি আছে, সেই রাজ্যগুলিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নির্বাচনী বিধি লঙ্খন করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। আমাদের ওখানে মহিলা প্রার্থীদের সবসময়ে তিনি ফোন করছেন। যত মহিলা দরদ এখন দেখাচ্ছে, যেটা মণিপুরের বেলায় দেখাননি, দিল্লিতেও দেখাননি, , কানপুরেও দেখাননি, হাথরসেও দেখাননি। কী দরদ, উপচে পড়া ব্যাথা'!এর আগে, বুধবার কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়কে ফোন করেন মোদী। নতুন সরকার গঠনের পর বাংলার ইডি-বাজেয়াপ্ত ফেরানো আশ্বাস দেন তিনি। শশী বলেন, 'আপনি টেলিফোন ব্যবহার করছেন, কথোপকথন রেকর্ড করছেন! গত পরশুদিন আবার বলেছেন তাঁর প্রার্থীকে যে, দুর্নীতি টাকা গরিব মানুষের মধ্যে বিলি করবেন। এখন কথা বলা যায় এই সম্পর্কে'!রাজ্যের মন্ত্রীর আরও বক্তব্য়, 'নির্বাচন বিগত দিনগুলিতে হয়েছে, এরকম দেখা যায়নি। নির্বাচন চলছে, প্রচারে সকলে ব্যস্ত। প্রক্রিয়া চলছে। তার মধ্যে এসে হাজির সিবিআই, ইডি, আইটি, এনআইএ! সকলেই পশ্চিমবাংলার আসছে। এই সমস্ত এজেন্সিগুলি বিজেপির কাছে, ক্ষমতাসীন দল, তাঁদের কাছে পৌঁছচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গকে টার্গেট করে নেমেছে। নিরপক্ষে নির্বাচন সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা তো দাবি করছি। কিন্তু প্রতিনিয়ত এই যে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে টার্গেট করা, তাহলে এখানে কোথাও না কোথাও ব্যাভিচার হচ্ছে, রাজনৈতিক দল, কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা থাকছে'।