চিত্তরঞ্জন দাস: দেওয়ালে লেখা, 'আমাদের একসঙ্গে জ্বালাবে।' ঘরের মধ্যে বিছানার উপর দম্পতিকে পাওয়া গেল প্রাণহীন অবস্থায়। খাটের উপর উদ্ধার স্বামীর ঝুলন্ত দেহ। আর ওই বিছানার উপর থেকেই মিলল স্ত্রীরও নিথর দেহ। সাত সকালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের উখড়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির ভুয়াপাড়ায়। মাকে ফোন করেও মেলেনি কোনও উত্তর। তারপর বাড়ি ফিরে দরজা ভাঙতেই ঘরে বাবার ঝুলন্ত দেহ আর বিছানায় মায়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে তাজ্জব ছেলে। মৃত ব্যক্তির নাম নীলকন্ঠ বাউড়ি, বয়স ৪২ বছর। আর মৃত মহিলার নাম লিলি বাউড়ি, বয়স ৩৫ বছর। জানা গিয়েছে, নীলকন্ঠ বাবু পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। আর লিলি দেবী পরিচারিকার কাজ করতেন।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অন্ডাল থানার পুলিস। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেছিল। সেই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছয় বৃহস্পতিবার রাতে। সম্ভবত তখনই নীলকন্ঠ বাউড়ি এবং লিলি বাউড়ি দেওয়ালে 'আমাদের একসঙ্গে জ্বালাবে' লিখে গলায় দড়ি আর ওড়না দিয়ে আত্মঘাতী হন। তারপর ওড়না আলগা হয়ে বিছানায় পড়ে যায় লিলিদেবীর দেহ।ছেলে রোহিত বাউড়ির বক্তব্য ,"পাশে মামার বাড়িতে ছিলেন তিনি । সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়ের ফোনে ফোন করলেও, উত্তর না মেলায় বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়া না মেলায়, দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতে যান। দরজা ভাঙতেই দেখেন, বাবার দেহ ঝুলতে এবং মায়ের দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে।"