• Bagrakot: চালু হয়েছে ক্রেস, শেষের পথে হাসপাতাল; চা বাগানে তৃণমূলের হাতিয়ার প্রকল্প
    ২৪ ঘন্টা | ২৯ মার্চ ২০২৪
  • অরূপ বসাক: লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সব থেকে বড় ইস্যু হতে চলেছে চা বাগানে বিভিন্ন প্রকল্প। বিভিন্ন ভোটে দেখা গিয়েছে চা বাগানের ভোটই বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে। তাই বিগত বছরগুলিতে দেখা গিয়েছে চা বাগান এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে তৃণমূল সরকার। বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন চা বাগানে ক্রেস হাউস, পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নতির জন্য তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র।মাল ব্লকের বাগড়াকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গম জায়গা হল সোনালী চা বাগান এলাকা। এলাকার মানুষসহ চাষ শ্রমিকদেরকে স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে হয় ওদলাবাড়ি না হয় মালবাজার ছুটতে হয়। সোনালি চা বাগান থেকে মালবাজারের দূরত্ব অনেকটাই বেশি, যার ফলে রাতবিরেতে সমস্যায় পড়ে যায় এই এলাকার বাসিন্দারা।

    তাই রাজ্য সরকার এই সোনালী চা বাগান এলাকায় তৈরি করেছে দশ বেডের হাসপাতাল। ইতিমধ্যে হাসপাতালের বিল্ডিং তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু হাসপাতালের সরঞ্জাম এবং চিকিৎসা পরিষেবার যাবতীয় জিনিসপত্র আনা বাকি।জানা গিয়েছে কিছুদিনের মধ্যে সেই সব জিনিসপত্র চলে আসবে এই হাসপাতালে। এই হাসপাতাল চালু হয়ে গেলে এলাকার বাসিন্দাদের আর ছুটতে হবে না মালবাজার বা ওদলবাড়ি হাসপাতালে।শুধু হাসপাতালই নয় এই সোনালী চা বাগান এলাকায় হাসপাতালের পাশেই তৈরি হয়েছে ক্রেস হাউস। ইতিমধ্যে এই ক্রেস হাউস চালু হয়ে গেছে। বিগত দিনে বিভিন্ন চা শ্রমিকেরা যখন চা বাগানে কাজ করেন তখন তারা ছোট বাচ্চাদের পিঠে কাপড় দিয়ে বেঁধে নিতেন।এর ফলে বিভিন্ন জীবজন্তুর আক্রমণের যে রকম ভয় থাকে পাশাপাশি বাচ্চাদের অসুস্থ হতেও দেখা য়ায়। তাই সোনালী চা বাগান এলাকায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ক্রেস হাউস। আর এই বাচ্চাদের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।বাগড়াকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি রাজেশ ছেত্রী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের এলাকায় ক্রেস হাউস এবং হাসপাতাল উপহার হিসেবে দিয়েছেন। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। ক্রেস হাউস ইতিমধ্যে চালু হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালের সমস্ত কাজই প্রায় শেষ এখন শুধু চালু হওয়ার অপেক্ষায়। আর এতেই খুশি এলাকার মানুষেরা’।মালবাজারের বিধায়ক তথা আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী বুলু চিক বাড়াইক বলেন, ‘বিভিন্ন চা বাগান এলাকায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা শ্রমিকদের জন্য চিন্তাভাবনা করেন, তাই চা বাগান এলাকায় শ্রমিকেরা যাতে শান্তিতে সুখে থাকতে পারে তার জন্য বিভিন্ন চা বাগানে ক্রেস হাউস, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন প্রকল্প চালু হয়েছে’।তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন চা বাগানের মধ্যে বাগ্রাকোড গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনালী চা বাগান অন্যতম। রুগ্ন এই চা বাগানে শ্রমিকদের কথা ভেবেই এই চা বাগানে পাশাপাশি ক্রেস হাউস এবং হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্রেস হাউস চালু হয়ে গেলেও দ্রুত হাসপাতাল চালু হবে। এই হাসপাতাল চালু হলে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। পাশাপাশি চা বাগানের বাসিন্দারা বিনামূল্যে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবে। এই ভাবেই বিভিন্ন চা বাগানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উন্নয়নের ডালি সাজিয়ে দিয়েছে’।চা বাগানের আশেপাশে মানুষ সহ চা শ্রমিকদের বক্তব্য, ‘চা বাগান এলাকায় হাসপাতাল এবং ক্রেস হাউস তৈরি হওয়ায় খুশি আমরা। ক্রেস হাউস তৈরি হয়ে গেছে আমরা চাই দ্রুত হাসপাতালটাও চালু হোক। জানা গিয়েছে ভোটের পরই এই হাসপাতালের পরিষেবা চালু হয়ে যাবে’। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)