জীবন থেকে কমে যাবে ১ সেকেন্ড সময়! বড় বিপদের মুখে পৃথিবী
এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
যতইদিন যাচ্ছে ততই বদলাচ্ছে আবহাওয়ার চেনাজানা ধরণ। পৃথিবী গরম হয়ে যাচ্ছে দ্রুত ফলে বদলে যাচ্ছে বহুদিনের চেনাজানা আচরণ। এই পরিস্থিতি গ্লোবাল ওয়ার্মিং নামে পরিচিত।অতিরিক্ত গরমের পাশাপাশি ভারি বৃষ্টি এবং ঝড়ের প্রকোপ অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকবে। এর ফলে জীবন এবং জীবিকা চরম বিপদে পড়বে। গবেষণায় উঠে এসেছে আরও এক ভয়াবহ তথ্য। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে ক্রমেই গলে যাচ্ছে মেরু বরফ। যার প্রভাব পড়ছে পৃথিবীর ঘূর্ণনের উপর। ফলে আস্তে আস্তে কমে যাবে এক সেকেন্ড সময়। চরম বিপদ ঘনিয়ে আসছে পৃথিবীর জন্য।
ঠিক কী ঘটতে চলেছে তা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের প্রভাবের সঙ্গে কী ঘটতে চলেছে তা বোঝার ওপর নির্ভর করছে। ১৯৫৫ সালের আগে একটি সেকেন্ডকে নক্ষত্রের সাপেক্ষে পৃথিবী একবার আবর্তিত হতে যে সময় লাগে একটি নির্দিষ্ট ভগ্নাংশ হিসেবে তার সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
তাপমাত্রা বাড়ায় উত্তর মেরুর জমাট বাধা বরফ এবং হিমবাহগুলো দ্রুত গলে যাচ্ছে। ফলে সাগরের উচ্চতা বেড়ে উপকূলের নীচু এলাকাগুলো ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এছাড়া সাইবেরিয়ার মত অঞ্চলে মাটিতে জমে থাকা বরফ গলতে থাকায় বরফের নীচে আটকে থাকা মিথেন গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে মিথেনের আরেকটি গ্রিনহাউজ গ্যাস জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। পৃথিবীর উষ্ণতা তাতে আরো বাড়বে। একইসঙ্গে বাড়বে বন জঙ্গলে আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়বে। আবহাওয়া বদলের জেরে অনেক প্রাণী নতুন জায়গায় চলে যাবে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের প্রভাবে অনেক প্রাণীই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বিপন্ন হবে অনেক মেরু প্রাণী। ফলে বিলুপ্ত হবে স্যামন মাছের মত বেশ কিছু মাছ। কারণ যেসব নদীতে ঢুকে তারা ডিম পেড়ে বাচ্চার জন্ম দেয় সেইসব নদীর জল গরম হয়ে যাচ্ছে।
প্রাকৃতিক কারণে জলবায়ুতে স্বাভাবিকভাবেই কিছু পরিবর্তন হয়। তবে এই তাপমাত্রা বাড়ার জন্য দায়ী মানুষের কর্মকাণ্ডই প্রধান দায়ী। গবেষণায় দেখা গেছে বায়ুমণ্ডলের
অন্যতম গ্রিন হাউজ গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ উনবিংশ শতকের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। গত দুই দশকে বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণেও বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন বাড়ছে। গাছপালা কার্বণঙরে রাখে। গাছ কেটে দেওয়ার ফলে সঞ্চিত সেই কার্বন বায়ুমণ্ডলে নিঃসারিত হয়। এর ফলে আগামী দিনে মানব জীবন থেকে কমে যবে মূল্যবান এক সেকেন্ড।