Indian Railway : তীব্র গতিতেও ঝাঁকুনিহীন ট্রেনযাত্রার ব্যবস্থা রেলের
এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
এই সময়: ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ছুটছে ট্রেন। মোটরম্যানের ক্যাবে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় একই সঙ্গে ধরা পড়ল ট্রেনের ইলেকট্রনিক স্পিডোমিটার এবং ড্যাশবোর্ডের উপরে রাখা কানায় কানায় ভর্তি এক গ্লাস জল। তবে আশ্চর্যের বিষয়, ট্রেনের ওই তীব্র গতিতেও গ্লাসের জল ছলকে পড়ল না।দূরপাল্লার ট্রেনের তীব্র গতির সঙ্গে যাঁরা পরিচিত, তাঁরা একই রকম ভাবে পরিচিত চলন্ত ট্রেনে ঝাঁকুনির সঙ্গেও। কামরা থেকে শৌচাগারে যাতায়াত করার সময়ে তো বটেই, কামরার মধ্যে সামান্য চলাফেরা করতে গেলেও চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় যাত্রীদের। ট্রেনের গতি যত বেশি থাকে, ঝাঁকুনির মাত্রাও তত বাড়ে। দূরপাল্লার ট্রেনের গড় গতিবৃদ্ধিতে বিশেষ নজর দেওয়া ভারতীয় রেল এ বার উদ্যোগী হয়েছে চলন্ত ট্রেনে ঝাঁকুনি কমানোর দিকেও।
সেই লক্ষ্যেই ‘সেমি কাপলার টেকনোলজি’ ব্যবহার করা হচ্ছে তীব্র গতির ট্রেনগুলিতে। প্রাথমিক ভাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে এই প্রযুক্তি বসানো হয়েছে। আগামী দিনে বন্দে ভারত ও অমৃত ভারতের যে-সব সংস্করণ বেরোবে, তার সব ক’টিতেই এই প্রযুক্তি থাকবে।
ভারতীয় রেলের রোলিং স্টক বিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, দু’টি কামরার সংযোগস্থলে এই সেমি কাপলার প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে। ট্রেনের গতি পরিবর্তন, ট্রেন থামার সময় এবং থেমে থাকা ট্রেন চালুর সময়ে যে হ্যাঁচকা টান লাগত, তা পুরোনো প্রযুক্তি ঠিক মতো সামাল দিতে পারত না। প্রবল ঝাঁকুনি লাগত ট্রেনের মধ্যে। কিন্তু নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগে ঝাঁকুনি প্রায় বোঝাই যাবে না। রেলের আধিকারিকদের দাবি, ট্রেন কোনও ব্রিজ পার করার সময়ে, বাঁক নেওয়ার সময়ে এবং বিভিন্ন পয়েন্ট পার করার সময়ে নতুন প্রযুক্তি অত্যন্ত উপযোগী হবে।
অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের গতি বাড়াতে ‘পুশ-পুল’ প্রযুক্তিরও ব্যবহার হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে একের বদলে একজোড়া ইঞ্জিনের সাহায্যে ট্রেন চলছে। একটি ইঞ্জিন ট্রেন টানবে এবং অন্য ইঞ্জিন পিছন দিক থেকে ট্রেনকে ঠেলবে। এই পদ্ধতিতে ট্রেনের গড় গতি বাড়ানো হচ্ছে অমৃত ভারতে।