ভোটের উত্তাপে সতেজ থাকার চেষ্টা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেনুতে ‘হিট’ সজনে ডাঁটা
এই সময় | ২৯ মার্চ ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের সুরক্ষা প্রদানে ইতিমধ্যেই রাজ্যে হাজির হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলায় জেলায় ঘাঁটি গেড়েছে তাঁরা। আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ইতিমধ্যে ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। রুট মার্চ, এলাকা পরিদর্শনের পালা চলছে নিয়ম করে। ভিন প্রদেশের কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা বাংলায় এসে এবার জওয়ানরা মজেছেন সজনে ডাঁটার স্বাদে।কেউ গুজরাট, কেউ পাঞ্জাব বা কেউ হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। বাঙালি খানাপিনার সঙ্গে তাঁদের দূর দূরান্তে কোনও সম্পর্ক নেই। তবে তপ্ত গরমে বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় বাহিনীদের ক্যাম্পের হেঁসেলে জায়গা করে নিয়েছে নানা শাক-সবজি। তার মধ্যেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে সজনে ডাঁটা।
সজনে ডাঁটা দিয়ে আলু, বেগুনের পাতলা ঝোল হোক বা সর্ষে দিয়ে সজনে ডাঁটা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সকাল, রাতের মেনুতে জায়গা পাচ্ছে বাংলার এই পরিচিত সবজি। গরম পড়তেই সজনে ডাঁটার চাহিদাও রয়েছে বাংলায়। সজনে ডাঁটার পুষ্টিগত গুণও নেহাত কম নয়। শরীর সতেজ এবং সুস্থ রাখতে তাই সজনে ডাঁটাকে আপন করে নিয়েছেন জওয়ানরাও।
মোট তিন কোম্পানির বাহিনীর মধ্যে আইটিবিপি’র ১ কোম্পানি বাহিনীকে রাখা হয়েছে আলিপুরদুয়ার শহরের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে কাছেই রয়েছে বাজার। সকাল হলেই বাজারে ভিড় জমিয়ে বাংলার নানা শাক সবজি ব্যাগ ভর্তি করে কিনছেন তাঁরা। লাল শাক, বেগুন, পাট শাকের সঙ্গে বাজারের তালিকায় অবশ্যই থাকছে সজনে ডাঁটাও।
এই কোম্পানির কমান্ড্যান্ট হিসেবে রয়েছেন সুরিন্দর। তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, মোট ৮৬ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে দুইজন রাঁধুনি, একজন সাফাই কর্মী, একজন করে ধোপা, নাপিত রয়েছেন। তবে খাবারের ব্যাপারে জওয়ানরা নির্দিষ্ট ডায়েট পালন করে থাকেন। তার মাঝেও বাজারে টাটকা সবজি মিলে যাওয়ায় এই সমস্ত সবজি ভালোই খাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ডাঁটা দিয়ে নানা পদ চেটেপুটে খাচ্ছেন বাহিনীর সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যে রয়েছে প্রথম দফার নির্বাচন। ভোটের আগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে, ভোটারদের মনোবল বাড়াতেই ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য স্কুলে স্কুলে তৈরি করা হয়েছে ক্যাম্প। প্রথম দফায় একশো কোম্পানি বাহিনী পাঠানো আগামী দিনে ধাপে ধাপে আরও বাহিনী পাঠানো হবে রাজ্যে। এপ্রিলের শুরুতেই রাজ্যে আরও ২৭ কোম্পানি পাঠানো হবে বলেই জানা গিয়েছে।