• বাঁকুড়ায় পরিশ্রমের পুরস্কার কলকাতায়! কোন অঙ্কে 'অভিমানী' সায়ন্তিকাকে টিকিট তৃণমূলের?
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
  • ১০ মার্চ-তখন বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা-চমক ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। কিন্তু, এরই মধ্যে আলোচনায় আসেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর একটি ভুয়ো ইস্তফাপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ওই ইস্তফাপত্র মিথ্য়ে হলেও প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকা নিয়ে তাঁর যে অভিমান হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গে রাখঢাক করেননি অভিনেত্রী। তবে অবশ্যই সঙ্গে দলের প্রতি আস্থা এবং তৃণমূলের সৈনিক হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরেছিলেন তিনি।এর মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই এবার সায়ন্তিকার কাঁধে নয়া দায়িত্ব দিল তৃণমূল। তাপস রায়ের ছেড়ে যাওয়া বরানগর কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূলের সৈনিক সায়ন্তিকা। ইতিমধ্যেই বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। যেখানে বরানগর কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর সজল বিশ্বাসকে।

    সেক্ষেত্রে লড়াইটা সজল বনাম সায়ন্তিকা হতে চলেছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, ২০২১ সালে সায়ন্তিকাকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। প্রথম ভোটযুদ্ধে উত্তীর্ণ হতে না পারলেও রাজনীতির ময়দান ছাড়েননি তিনি। বরং রাজনীতিক হিসেবে নিজের ধার-ভার বাড়িয়েছিলেন। এই প্রার্থী ঘোষণার পর সায়ন্তিকা বলেন, ‘দল আস্থা রেখেছে। দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল।’

    বাঁকুড়ার একাধিকবার গিয়েছেন তিনি। সভা করেছেন। সাংগঠনিক ক্ষেত্রেও তাঁর দায়িত্ব বাড়িয়েছিল দল। এর মধ্য়ে তাঁর সেলুলয়েডে আনাগোনা কমেছে। তার বদলে রাজনীতির মাঠ-ময়দানে বেশি দেখা গিয়েছে সায়ন্তিকাকে।

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগদান করেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে প্রার্থীও করে তৃণমূল। কিন্তু, 'টাফ ফাইট' দিয়েও মাত্র ১৪৬৮ ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরে যান বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রি শেখর দানার কাছে। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন বাঁকুড়ার মাটি ছাড়ছেন না তিনি। কথা রেখেছিলেন সায়ন্তিকা।

    দীর্ঘ সময় তিনি বাঁকুড়ার মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। একাধিক প্রচার-মিটিং-মিছিলে উপস্থিত থাকতেন। নিয়মিত সভা করতেন সেখানে। কিন্তু, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। সেই সময় অভিমানের সুর শোনা গিয়েছিল সায়ন্তিকার কণ্ঠে। তবে দল তাঁর জন্য নিশ্চই নতুন কোনও দায়িত্বের কথা ভেবেছে, এমনটাও বলেছিলেন অভিনেত্রী।

    এবার বিধানসভা উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয় এনে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হল সায়ন্তিকার কাঁধে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন পার্ণো মিত্র। কিন্তু, তৃণমূলের তাপস রায়ের কাছে পরাজিত হন তিনি। কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগদান করেন তাপস রায়। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফাও দেন তিনি। এরপরেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ডঙ্কা। সায়ন্তিকা বনাম সজল-এই কেন্দ্রে শেষ হাসি কে হাসেন, এখন তাই দেখার।
  • Link to this news (এই সময়)