লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় তিন কেন্দ্রে ভোট, সমস্যায় অভিযোগ জানান পর্যবেক্ষকদের এই নম্বরে?
এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ১৯ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ের ভোটের জন্য কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে ভোট। ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্রগুলির জন্য প্রায় ৭২টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। রাজ্যে প্রথম দফায় ভোটের জন্য বিভিন্ন পর্যবেক্ষকদের নাম, ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে দু'জন বিশেষ পর্যবেক্ষকদের নাম জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রের জানা গিয়েছে, ১৯৮৬ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত IPS অফিসার অনিল অলোক সিনহাকে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। আর ১৯৮৪ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত IPS অফিসার অনিল কুমার শর্মাকে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে।অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পর্যবেক্ষকদের ভূমিকাও অপরিসীম। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ পেয়ে তাঁরা তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নেন। ভোটারদের মনোবল বাড়াতেও তাঁদের দ্রুত পদক্ষেপ অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ রাজ্যে এসে বেশ কিছুজন পর্যবেক্ষক কাজের নিরিখে রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন। আবার বিরোধীরা অনেক সময়েই অভিযোগ তোলেন, ভোটের দিন পর্যবেক্ষকদের নাগাল পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোথায় কে পর্যবেক্ষক, কী নাম এবং অন্যান্য জরুরি তথ্য
সাধারণ পর্যবেক্ষকদের নামকেন্দ্রফোন নম্বরIAS রবী কুমার শুরপুরকোচবিহার9414551485IAS পাতিল ইয়ালাগৌড়া শিবানাগৌড়াআলিপুরদুয়ার7319206182IAS সুধাংশু মোহন সামলজলপাইগুড়ি7318793695এক্সপেনডিচার পর্যবেক্ষকদের নাম IPS কুমার বিশ্বজিতকোচবিহার9560339966IRS সলুঙ্কে দুর্গেশআলিপুরদুয়ার7478096485IRS মদন মোহন মিনাজলপাইগুড়ি7318793776পুলিশ পর্যবেক্ষকদের নামIPS কুমার বিশ্বজিতকোচবিহার9440446111IPS পুণিত রাস্তোগিআলিপুরদুয়ার7319386130চাক্কিরালা সম্ভাশিবাজলপাইগুড়ি7477640839এ বছর প্রথম থেকেই নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ বা অশান্তির ক্ষেত্রে কড়া কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্য় এসেও কড়া বার্তা দিয়েছে। এই আবহেই রাজ্যে ভোট হতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, নির্ঘণ্ট প্রকাশ হলেই পর্যবেক্ষকদের বুথস্তরে গিয়ে কাজ শুরু করে দিতে হবে। কোনও অভিযোগ পেলেই দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। সাধারণ ভোটার এবং রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ মন দিয়ে শুনতে হবে পর্যবেক্ষকদের। যে কেউ ফোন এবং ই মেইল আইডি মারফত অভিযোগ জমা করতে পারবেন। ফোন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে। সব ফোন ধরতে হবে পর্যবেক্ষকদের। প্রশাসনের কাজের উপরেও কড়া নজরদারি চালাবে পর্যবেক্ষকরা।