• রাজ্যের দুই বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের, লড়াইয়ের ময়দানে কে কে?
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বাংলায় হতে চলেছে উপনির্বাচনও। রাজ্যের বরানগর ও ভগবানগোলায় উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন করেছে। ইতিমধ্যেই ওই দুই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। এবার ওই দুই কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূলও। বরানগর কেন্দ্র থেকে অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিকিট দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি ভগবানগোলা থেকে রেয়াত হোসেন সরকারকে প্রার্থী করেছে রাজ্যের শাসকদল।

    দেশে মোট ৭ দফায় হতে চলেছে লোকসভা ভোট। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনই জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় লোকসভা ভোটের সঙ্গেই বিভিন্ন রাজ্যে হতে চলেছে উপনির্বাচনও। দেশের যে সমস্ত রাজ্যে উপনির্বাচন হবে তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। বাংলায় মোট ২ দফায় হতে চলছে উপনির্বাচন। ২ দফায় রাজ্যের ২টি বিধানসভা কেন্দ্রে হতে চলেছে উপনির্বাচন। তৃতীয় দফায় ভোটের দিন উপনির্বাচন হবে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায়। আর সপ্তম দফায় ভোটের দিন উপনির্বাচন হবে বরানগরে।উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদের বিধায়ক ছিলেন ইদ্রিশ আলি। কিছুদিন আগে ইদ্রিশের প্রয়াণ হয়। তাই স্বাভাবিকবাবেই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে আবার সম্প্রতি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন তাপস রায়। দীর্ঘদিন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন তাপস। বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি দলও ছাড়েন তাপস রায়। তারপর যোগ দেন বিজেপিতে। তাই ওই কেন্দ্রেও উপনির্বাচনের ঘোষণা করা হয়।

    এদিকে তাপস রায়কে লোকসভা ভোটে উত্তর কলকাতার প্রার্থী করেছে বিজেপ। আর তাঁর ছেড়ে যাওযা বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে সজল ঘোষকে। পাশাপাশি ভগবানগোলা কেন্দ্রে ভাস্কর সরকারকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তৃণমূলের তরফে সায়ন্তিকার নাম ঘোষণার পরেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বরানগরের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। সায়ন্তিকার প্রতি সজল ঘোষের আবেদন, এই লড়াই যেন রাজনৈতিক থাকে, কোনওভাবেই তা যেন রক্তক্ষয়ী লড়াইতে পরিণত না হয়।

    প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও প্রতিপক্ষ নীলাদ্রিশেখর দানার কাছে পরাজিত হন তিনি। তবে নির্বাচনে হারলেও রাজনীতির মাটি ছাড়েননি সায়ন্তিকা। বাঁকুড়ার বুকে লাগাতার দলের হয়ে কাজ চালিয়ে যান। দলের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মানুষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে দেখা যায় তাঁকে। যদিও লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। ফলে একটা সময় তাঁর দলত্যাগ নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত এার বরানগর কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করল তৃণমূল।
  • Link to this news (এই সময়)