‘সতর্ক হোন। আপনার নামে কোর্টের অর্ডার এসেছে। আপনার আইপি (ইন্টারনেট প্রোটোকল) ট্র্যাফিক সম্পর্কে কিছু বিরূপ রিপোর্ট এসেছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর কাছে। বিশদে জানতে অবিলম্বে আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করুন এই ই-মেল প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। আমাদের হেল্পলাইন ২৪X৭ ঘণ্টা চালু থাকে।’আপনার ই-মেলে এমন একটা বার্তার শেষে পেতে পারেন একটি হেল্পলাইন নম্বরও। তবে ভয় পেয়ে যদি সেই নম্বরে ফোন করে ফোনের উল্টোদিকের ব্যক্তিটির কথামতো চলতে থাকেন, তা হলে আপনার জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে। সম্প্রতি এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সাইবার সিকিওরিটি বিভাগের তরফে।
সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ নথিভুক্ত করার জন্য কেন্দ্রের একটি পোর্টাল আছে www.cybercrime.gov.in নামে। এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে এদের হ্যান্ডেল হল @Cyberdost। আর এই প্রতিবেদনের শুরুতে যে ই-মেলটির কথা বলা হল, সেই রকম বার্তা পাঠানো হচ্ছে অনেকটা এই ধরনের নাম ব্যবহার করেই। যেমন জনৈক প্রাপকের কাছে মেলটি গিয়েছে cyberdost14hma@cybercrimegovin.in এই ই-মেল আইডি থেকে।
যেহেতু বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা এবং কেন্দ্রের সাইবার সুরক্ষা বিভাগের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার জন্য তাদের অফিশিয়াল প্ল্যাটফর্মগুলি বারবার তুলে ধরা হচ্ছে, তাই প্রতারকরা সুকৌশলে সেই নাম কোনও না কোনওভাবে ব্যবহার করে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে। যাতে ই-মেল প্রাপকের দেখে মনে হয়, সেটা অফিশিয়াল মেল আইডি থেকেই এসেছে।
আর কোর্টের অর্ডার অথবা কোনও গোয়েন্দা এজেন্সির নাম করে যদি কারওকে বলা হয়, তাঁর আইপি অ্যাড্রেসটি অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা হলে তো অনেকেই ভয় পাবেন! তার পরের অপারেশন তো খুব সহজ। ফোন করে অমুক অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে মিটমাট করতে বলতে পারে প্রতারকরা। বা আরও আরও নানা রকম কৌশলে সংশ্লিষ্ট শিকারকে ব্ল্যাকমেল করা হতে পারে।
এই ফাঁদে পা না দিতে সতর্ক করছে পুলিশও। সাইবার বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যদি এমন কোনও ই-মেল বা মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপ পান, তা হলে আগে ভালো করে দেখে নিন আসল সংস্থার নাম এ ক্ষেত্রে জাল করা হয়েছে কি না বা আপনার কাছ থেকে কোনও টাকাপয়সা দাবি করা হচ্ছে কি না।
এই রকম কোনও ই-মেল পেয়ে থাকলে সরাসরি যোগাযোগ করুন অফিশিয়াল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে এবং সেখানে আপনার অভিযোগ জানান। কোনওভাবেই প্রতারকদের কথামতো তাদের টাকাপয়সা দিতে যাবেন না। আপনার সতর্কতাই আপনার অস্ত্র।